সরযূ নদীর তীরে দীপোৎসব ২০২২ -এ অংশগ্রহণ করেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। 'জয় শ্রী রাম' স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সরযূ নদীর তীর।
রবিবার অযোধ্যায় দীপোৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে ভগবান রামের আরতি করেন এবং প্রতীকী রাজ্যাভিষেক করেন।
এরপর দীপোৎসব উপলক্ষে অযোধ্যায় উপস্থিত জনগণকে সম্বোধন করেন। বলেন,'অযোধ্যার প্রতিটি কোণায় ভগবান রামের নিদর্শন রয়েছে।'
ভগবান রামকে বিশ্বের জন্য আলোর রশ্মি হিসাবে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, 'আজ যে অযোধ্যায় প্রদীপে জ্বলছে, সেই প্রদীপ জ্বলে উঠলে অন্ধকার আপনাআপনি দূর করে দেয়।' তিনি আরও বলেন, দেশ অন্ধকার থেকে আলো ছড়িয়েছে। প্রদীপ উৎসর্গের প্রতীক। অন্ধকারে আলো দান করে। জয় সবসময়ই পুণ্যের হয়।
অযোধ্যায় দীপোৎসবে লক্ষ লক্ষ প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয় রাম জন্মভূমি অযোধ্যা। এদিন দীপোৎসবে অংশ নিয়ে নয়া ঘাটে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী। ঘাটে পৌঁছে সরযূ আরতি করেন।
এদিন ১৭ লক্ষ প্রদীপ প্রজ্বলন করে নতুন রেকর্ড তৈরি করে। সরযূ ঘাটেই ১৫ লক্ষ ৭৬ হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়, যা গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে নেয়। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সদস্যরা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের হাতে নতুন রেকর্ডের শংসাপত্র হস্তান্তর করে। গত বছর ১২ লক্ষ প্রদীপে আলোকিত হয়েছিল অযোধ্যা। রামের পায়ে ৯ লক্ষ প্রদীপ এবং বাকি অযোধ্যায় ৩ লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হয়। রামজন্মভূমি কমপ্লেক্সে ৫১ হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।
অযোধ্যায় লেজার শোতে প্রযুক্তি এবং আলোর সংমিশ্রণও দেখা যায়। লেজার শোতে রামায়ণ দেখানো হয়। বিপুল সংখ্যক উপস্থিত দর্শকেরা মোবাইল ফোনে এই মহিমান্বিত ও ঐশ্বরিক দৃশ্য ধারণ করে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণে বলেন, অযোধ্যার রামলীলা, সরযূ আরতি, দীপোৎসবের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এবারের দীপাবলি স্বাধীনতার অমৃত উত্সব উদযাপন করছি। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব ভগবান রামের মতো ইচ্ছাশক্তি দেশকে নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়।
অযোধ্যায় দীপাবলির প্রাক্কালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় ভগবান রামের আরতি করে ভগবান রামের ভক্তি ও জাতির প্রতি তাঁর ভালবাসার অনুভূতি বর্ণনা করেন।