আরও শক্তি বাড়ল ভারতীয় সেনার। পিনাকা মিসাইল সিস্টেমের উন্নততর সংস্করণের পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ হল ওড়িষা উপকূলের চাঁদিপুরে।
চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে পর পর ৬টি রকেট ছোড়া হয় পিনকা মিসাইলের সিস্টেম থেকে। রকেটগুলির সবকটিই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত করে। ওইসব রকেটকে রেডার ও ইলেক্ট্রো অপটিক্যাল ট্রাকিং সিস্টেমে পরীক্ষা করে তাদের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য এই মিসাইল বানিয়েছে ডিফেন্স রিসার্চ ডেভলপমেন্ট অরগাইনজেশন। এবার এই সিস্টেমের একটি উন্নত সংস্করণের সফল পরীক্ষা করল ডিআরডিও।
ডিআরডিওর সঙ্গে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে পুণের আর্মামেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্ট্যাব্লিশমেন্ট , রিসার্চ সেন্টার ইমারত , ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাবোরেটরি , প্রুফ অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল এস্ট্যাব্লিশমেন্ট এবং হাই এনার্জি মেটিরিয়াল রিসার্চ ল্যাবোরেটরি।
পিনাকা হল ভারতের ফ্রি ফ্লাইট অ্যাটিলারি রকেট সিস্টেম। এর পাল্লা ৩৭.৫ কিলোমিটার। পিনাকা রকেট ছোড়া হয় এই সিস্টেমের একটি মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চার থেকে। মাত্র ৪৪ সেকেন্ড ১২টি রকেট ছুড়তে পারে এই সিস্টেম।
পিনাকা মিসাইল সিস্টেমের প্রথম পাল্লা ছিল ৪০ কিলোমিটার। এরপর তা বাড়িয়ে ৭৫ কিলোমিটার করা হয়। এবার তা আরও বাড়ানো হয়েছে। এই নতুন ভার্সন ৬০ থেকে ৯০ কিমির মধ্যে দূরত্ব পেরতে পারে।
পাকিস্তান, চিনের আস্ফালন দেখে ভারতও নিজেকে ক্রমাগত শক্তিশালী করে তুলছে। যে কোনও পরিস্থতির মোকাবিলায় সাজানো হচ্ছে ভারতের অস্ত্রভাণ্ডার। যার সর্বশেষ সংযোজন পিনাকা মিসাইল।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার সিস্টেমে ইতিমধ্যে সামিল করা হয়েছে পিনাকাকে। চিন, পাকিস্তান-উভয়ের বিরুদ্ধেই সেনাবাহিনীর অপারেশনে সাফল্যের সঙ্গে তা মোতায়েনও করা হয়েছে।
পিনাকা রকেটের নামকরণ করা হয়েছে ভগবান শিবের ধনুকের নামে। ভারতের হাতে রয়েছে পিনাক এমকে-১ রকেট। চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসেই এমকে-১ রকেটের উন্নততর সংস্করণের উৎপাদন শুরু করেছে ডিইরেক্টরেট জেনারেল অব কোয়ালিটা অ্যাসুরেন্স। উন্নততর সংস্করণে ৪৫ থেকে ৬০ কিমি পর্যন্ত দূরের টার্গেটে আঘাত করার ক্ষমতা আছে।