Kashmir Tourists: নেই সেই চেনা ভিড়, গুলমার্গে শ্মশানের স্তব্ধতা, কাশ্মীরের বাকি জায়গাগুলির কী অবস্থা? রইল সব ছবি

পহেলগাঁওতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পে এক চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে।  ছবি: নিসওয়ান রসুল
 

বিশেষ করে গুলমার্গ, যা কাশ্মীরের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, সেখানে পর্যটকের সংখ্যা বিপুলভাবে কমে গেছে। একসময় যে স্থানগুলি ছিল মানুষের আনাগোনায় ভরা, এখন সেসব জায়গা পরিণত হয়েছে শূন্য এবং স্তব্ধ।  ছবি: নিসওয়ান রসুল
 

গুলমার্গের বাজারগুলি এখন প্রায় ফাঁকা, যেখানে একসময় লোকজনের ভিড় ছিল। দোকানদারেরা বসে আছেন, একে অপরের সঙ্গে কথা বলছেন, কিন্তু তাদের কাছে ক্রেতা নেই।  ছবি: নিসওয়ান রসুল
 

স্থানীয় রেস্তোরাঁগুলোতে খাবারের অর্ডার নেই, এবং কর্মচারীরা বসে আছেন অপেক্ষায়, যেন কেউ আসবে। ২৬ জন পর্যটক এবং স্থানীয় এক কাশ্মীরি বাসিন্দা পহেলগাঁও হামলায় নিহত হওয়ার পর, পর্যটকদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই কাশ্মীর ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল বা স্থগিত করেছেন।  ছবি: নিসওয়ান রসুল

আগে গুলমার্গের প্যাটি বাজার, যেখানে শপিং এবং খাবারের জন্য পর্যটকরা ভিড় করতেন, এখন সেখানে এক ধরনের নিঃসঙ্গতা ছড়িয়েছে। ছবি: নিসওয়ান রসুল
 

পর্যটক না আসায় গুলমার্গের হোটেল এবং রিসর্টগুলোও বুকিং হারিয়েছে। বিশেষ করে শীতকালীন ক্রীড়ার জন্য পরিচিত গুলমার্গ, যেখানে স্কিইং এবং অন্যান্য আকর্ষণীয় খেলাধুলোর আয়োজন হত, এখন সেখানে উৎসাহের অভাব দেখা যাচ্ছে। ছবি: নিসওয়ান রসুল
 

কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা, কারণ এটি অর্থনীতির অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র। বহু পরিবার পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল, তাদের আয় মূলত পর্যটকদের আসা-যাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। ব্যবসায়ীরা আশায় ছিলেন, গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে, কিন্তু পহেলগাঁও হামলার পর, তাঁদের আশা মেঘলা হয়ে গেছে।

তবে কিছু পর্যটক এখনও কাশ্মীর ভ্রমণ করতে আসছেন, যদিও সংখ্যাটা আগের তুলনায় অনেক কম। কাশ্মীর সরকারের পক্ষ থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য কিছু প্রচেষ্টা করা হচ্ছে, তবে সেগুলির বাস্তবায়ন কতটা কার্যকরী হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। 
 

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পর্যটকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প পুনরুদ্ধারের জন্য সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সরকারের উদ্যোগ প্রয়োজন। 
 

আরও ভালও প্রচার, মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সমর্থন খুব গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, যদি পরিস্থিতি শান্ত হয়, তবে কাশ্মীর আবার তার পুরনো জৌলুস ফিরে পেতে পারে।