বাংলায় এখন বিধানসভা ভোটের উত্তাপ। নিয়মিত প্রচারে আসছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু এবার তার রাজ্যেও নির্বাচন। উত্তরপ্রদেশ জুড়ে হতে চলেছে পঞ্চায়েত ভোট। চার দফার ভোট শুরু হচ্ছে আগামী ১৫ এপ্রিল। ১৯,২৬ এবং ২৯ এপ্রিল চলবে ভোটগ্রহণ। ফল প্রকাশ ২ মে।
পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে উত্তরপ্রদেশে। জানা যাচ্ছে ভোটে জিততে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাঁড়ানো প্রার্থীরা মিষ্টির আশ্রয় নিচ্ছেন। এক সপ্তাহ আগেই আমরোহায় একশ কেজি রসগোল্লা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এবার উন্নাওতে পুলিশ দুই কুইন্টাল জিলেপি ও এক হাজারেরও বেশি সিঙ্গারা আটক করেছে। এই বিপুল পরিমাণ জিলেপি ও রসগোলা ভোটারদের মন পেতে নিজের বাড়িতে তৈরি করছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার দৌঁড়ে থাকা রাজু মৌর্য।
হাসানগঞ্জের সিও আর কে শুক্লা জানান যে পিছেওয়াদা গ্রামে প্রঞ্চায়েত প্রধান হতে প্রার্থী হওয়া রাজু মৌর্য করোনার নিয়ম না মেনেই মানুষকে জড়ো করছিলেন। করোনা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উন্নাওর পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীরা যাতে নিয়ম লঙ্ঘন না করতে পারে তার জন্য কড়া পদক্ষেপ করছে জেলা প্রশাসন। শনিবার হাসানপুর থানার পুলিশ জানতে পেরেছিল যে পিছেওয়াদা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান প্রার্থী রাজু মৌর্যর পক্ষে ভোটারদের প্রভাবিক করার উদ্দেশ্যে প্রচুর পরিমাণে জিলেপি ও রসগোল্লা তৈরি করা হচ্ছে।
এর পরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। রাজু মৌর্যের বাড়ি থেকে ২০০ কেজি জিলেপি ও ১০০০ সিঙ্গারা, মাদা, ঘি, উনুন ও সিলিন্ডার সবকিছুই বাজেয়াপ্ত করা হয়। পাশাপাশি ওই পঞ্চায়েত প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য মামলাও করা হয়েছে।
এই ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ আগে, আমরোহা জেলার রুখালু গ্রামে একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। গ্রাম প্রধানের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিওয়া চন্দ্রসেনও ভোটারদের মধ্যে রসগোল্লা বিতরণের চেষ্টা করেছিলেন। তারপরে চন্দ্রসেনের বাসা থেকে পলিথিনের ব্যাগে প্রায় ১০০ কেজি রসগোল্লা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এরপরে ঘটনাস্থল থেকে চন্দ্রসেনের স্ত্রীর ভাই সোহানবীরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।