করোনা অতিমারীর জেরে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৭০ কোটি পড়ুয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে করোনা এবং লকডাউনের জেরে।
লকডাউনেও স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পঠন-পাঠন চালিয়ে যেতে অনলাইন ক্লাস বা ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল হতে হয় বিশ্বের প্রায় সব দেশকেই।
ভারতেও মার্চের পর থেকে স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে একটু একটু করে শুরু হয় অনলাইন ক্লাস বা ডিজিটাল শিক্ষা। দেশে বাড়তে থাকে ইন্টার্নেটের ব্যবহার। শিক্ষার ক্ষেত্রেও আবশ্যিক হয়ে ওঠে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার।
কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া দেশের পড়ুয়া পক্ষে মোটেই সহজ ছিল না! সব পড়ুয়াদের কাছে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার না থাকায় অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও।
এত রকম বাধা-বিপত্তি পেরিয়েও বিগত এক বছরে অনলাইন ক্লাস বা ডিজিটাল শিক্ষায় ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে ভারতের। অন্তত এমনটাই জানানো হয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেস (Oxford University Press বা OUP)-এর করা সমীক্ষার রিপোর্টে।
ভারত, ব্রিটেন, ব্রাজিল-সহ মোট সাতটি দেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাস বা ডিজিটাল শিক্ষার উপর সমীক্ষা চালায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেস (Oxford University Press)। সমীক্ষার রিপোর্টে ডিজিটাল শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বের নজর কেড়েছে ভারত!
ভারত, ব্রিটেন, ব্রাজিল ছাড়াও দক্ষিন আফ্রিকা, পাকিস্তান, স্পেন এবং তুরস্ক— এই সাতটি দেশে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত ৫-এর মধ্যে ৩.৩ নম্বর পেয়েছে।
এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ভারতীয়দের ৭১ শতাংশ দেশের সরকারের কাছে এই মহামারীর সময়ে অনলাইন পড়াশোনার জন্য আরও বেশি প্রযুক্তি খাতে অর্থ বিনিয়োগ, ইন্টারনেট সংযোগের উন্নতি এবং পড়ুয়া ও শিক্ষকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন।