
শীতের জোরদার ব্যাটিং শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতের একটি বড় অংশ জুড়ে। বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। দিল্লির মৌসম ভবন IMD পূর্বাভাসে জানিয়ে দিল, বীরভূমের শ্রীনিকেতনে এই মরসুমে প্রথমবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে নামল। রবিবার শ্রীনিকেতনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ ডিগ্রি।

পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে পূর্বাভাসে IMD জানিয়েছে, বাংলার সব জেলাতেই প্রধানত শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। উত্তরের জেলাগুলিতে কুয়াশার দাপট থাকতে পারে। দার্জিলিঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে। রবিবার যা ছিল ৬.২ ডিগ্রি। কালিম্পংয়ে যদিও ১০.৫ ডিগ্রি। বীরভূমের শ্রীনিকেতনে তার মানে কালিম্পংয়ের চেয়ে বেশি ঠান্ডা।

IMD জানিয়েছে, আলিপুরদুয়ারে ১১ ডিগ্রি, কল্যাণীতে ১১.৪ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১১.৪ ডিগ্রি ও পানাগড়ে ১১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে পারদ। কলকাতাতেও পারদ নেমেছে। ১৫ ডিগ্রির নীচে চলে গিয়েছে।

ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও হাড় কাঁপানো শীতের পূর্বাভাস দিল আইএমডি। অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর ও ত্রিপুরায় নানা জায়গায় ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস রয়েছে।

উত্তর ভারতে কনকনে ঠান্ডার দাপট। জম্মু-কাশ্মীরের অমরনাথ যাত্রার বেস ক্যাম্প পহেলগাঁও ছিল সবচেয়ে শীতল এলাকা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পাশাপাশি পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানের বহু জায়গায় ন্যূনতম তাপমাত্রা ৩ থেকে ৭ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে।

আবহাওয়া দফতর (IMD) জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ, বিদর্ভ, ছত্তীসগড় এবং ওড়িশার বিচ্ছিন্ন এলাকায় সোমবার ও মঙ্গলবার ঠান্ডা হাওয়ার প্রভাব আরও বাড়তে পারে। দিল্লিতে এদিন ন্যূনতম তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রি, আগের দিনের ৬.৮ ডিগ্রির তুলনায় খানিক বেশি হলেও স্বাভাবিকের চেয়ে এখনও কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২৪.৭ ডিগ্রি।

কাশ্মীরের অন্যান্য অংশেও রাতের তাপমাত্রা জমে যাওয়ার মতো ঠান্ডা। শ্রীনগরে ন্যূনতম তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ০.৯ ডিগ্রি, কুপওয়ারা ও ককর্নাগেও তাপমাত্রা শূন্যের কাছাকাছি। পাহাড়ি এলাকায় ৮ ডিসেম্বর হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

হিমাচল প্রদেশে ঘন কুয়াশার কারণে কয়েকটি অঞ্চলে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পঞ্জাবে ফিরোজপুর, বথিন্ডা, ফারিদকোটে ন্যূনতম তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি, হরিয়ানাতেও নরনৌল, হিসার, স্যারসাতে তাপমাত্রা ৫, ৬ ডিগ্রির আশপাশে।

রাজস্থানে তীব্র ঠান্ডার মধ্যে শিকার জেলার ফতেহপুরে তাপমাত্রা নেমে যায় ৩.৫ ডিগ্রি পর্যন্ত। আগামী দিনে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে তাপমাত্রা ২–৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

ঝাড়খণ্ডেও শীত বৃদ্ধি পেয়েছে; গুমলা, রাঁচি, দালতনগঞ্জে তাপমাত্রা ৩.৫ থেকে ৭ ডিগ্রির মধ্যে। IMD বলছে, রাজ্যে আগামী পাঁচ দিন শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে এবং আগামী ৭২ ঘণ্টায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।