scorecardresearch
 

স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ, বিয়ের ৪৫ বছর পর আদালতের দ্বারস্থ ষাটোর্দ্ধ মহিলা

কর্মজীবনের শেষে জীবন সায়াহ্নে এসে যখন শান্তিতে বাকি দিনগুলো নিজের সঙ্গীর সঙ্গে কাটানোর কথা তখনি ঠিক আদালতে দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা। বিয়ের ৪৫ বছর পর স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলে আলাদা থাকতে চাইছেন তিনি। এমন ঘটনা ঘটেছে দেশের বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে।

Advertisement
প্রতীকি ছবি প্রতীকি ছবি
হাইলাইটস
  • ৪৫ বছর ধরে স্বামীর নিগ্রহের শিকার
  • অবশেষে মুখ খুললেন নির্যাতিত স্ত্রী
  • আলাদা থাকতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ

কর্মজীবনের শেষে জীবন সায়াহ্নে এসে যখন শান্তিতে বাকি দিনগুলো নিজের সঙ্গীর সঙ্গে কাটানোর কথা তখনি ঠিক আদালতে দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা। বিয়ের ৪৫ বছর পর স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলে  আলাদা থাকতে চাইছেন তিনি। এমন ঘটনা ঘটেছে দেশের বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে। 

আদিবাসী ভোট যার নবান্ন তার? গুটি সাজাতে উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই বৈঠকে মমতা

জানা যাচ্ছে বছর বাষট্টির ওই মহিলা মুম্বইয়ের একটি আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে মামলা করেছেন। বিবাহিত জীবনের ৪৫ বছর ধরে তার ওপর অত্যাচার চালিয়েছেন মার্চেন্ট নেভিতে কাজ করা স্বামী, এমনটাই দাবি করছেন মহিলা। তিনি  জানিয়েছেন, ১৯৭৫ সালে তাঁর বিয়ে হয়। দম্পতির এক ছেলে এবং এক মেয়েও রয়েছে। সন্তানরা বর্তমানে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং পরিবার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাস করেন। মহিলা আদালতে জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই স্বামী তাঁর ওপর শারীরিক, মানসিক অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন। মহিলার আরও অভিযোগ, স্বামী নিয়মিত আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে থাকেন। ছয় বছর আগে অবসর নিয়েছেন মার্চেন্ট নেভিতে কাজ করা স্বামী। তিনি দিন শুরু করেন আপত্তিজনক ভাষা দিয়ে। সেই কারণে ভারতে আসলেও সন্তানরা তাঁদের বাড়িতে আসেন না বলে জানিয়েছেন মহিলা। 

Weather Update: বাড়ল তাপমাত্রা, তবে বঙ্গবাসীর জন্য আসছে শীতের আরও একটি স্পেল

মহিলার দাবি এই মানসিক অত্যাচার তিনি আর সহ্য করতে পারছিলেন না। হাই ব্লাডপ্রেশার, ডায়াবেটিস ছাড়াও তাঁর একাধিক শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে। তাই ৪ বছর আগেই স্বামীর থেকে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলা। যদিও আদালতে এই অভিযোগ মানতে চাননি মহিলার স্বামী। উল্টে তাঁর স্ত্রী মিথ্যেবাদী বলে পাল্টা দাবি করেছেন অভিযুক্ত। তবে দুই পক্ষের বয়ান শোনার পর মেজিস্ট্রেট ইমরান আর মারছিয়া বলেন, "আমি স্বামীর দুর্ব্যবহার ছাড়া মহিলার আলাদা থাকার আর কোনও কারণ দেখতে পাচ্ছি না। যা প্রমাণ মিলছে তাতে নিগৃহীতা নিয়মিত গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়েছেন তা স্পষ্ট।"

Advertisement

ওই দম্পতির মুম্বইতে একাধিক বাড়ি রয়েছে। আদালত জানিয়েছে তার একটিতে থাকবেন স্বামী, অন্য আরকেটি বাড়িতে আলাদা থাকবেন স্ত্রী। খরচ চালানোর জন্য স্বামী স্ত্রীকে মাসিক ৩৫ হাজার টাকা দিতে সম্মত হয়েছিলেন। তবে স্ত্রীর খোরপোষ হিসাবে দাবি ছিল ৭০ হাজার টাকা। তবে আদালত জানিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত ওই মার্চেন্টকে প্রতিমাসে নিজের স্ত্রীর দেখভালের জন্য ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে। 


 

Advertisement