চিনের মতোই COVID-তাণ্ডব আসছে ভারতে? বিশেষজ্ঞরা যা জানাচ্ছেন

চিনের করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। জিরো-কোভিড নীতি শেষ হওয়ার পরও সেখানে করোনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক দিনে চিনে কয়েক লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে হাসপাতালের শয্যা ভর্তি হয়ে গেছে এবং রাজধানী বেজিংয়ের শ্মশানে তাদের প্রিয়জনের শেষকৃত্যের জন্য মানুষকে ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

Advertisement
চিনের মতোই COVID-তাণ্ডব আসছে ভারতে?china
হাইলাইটস
  • চিনের করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
  • জিরো-কোভিড নীতি শেষ হওয়ার পরও সেখানে করোনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

চিনের করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। জিরো-কোভিড নীতি শেষ হওয়ার পরও সেখানে করোনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক দিনে চিনে কয়েক লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে হাসপাতালের শয্যা ভর্তি হয়ে গেছে এবং রাজধানী বেজিংয়ের শ্মশানে তাদের প্রিয়জনের শেষকৃত্যের জন্য মানুষকে ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যেকারণেই আতঙ্ক বাড়ছে ভারতেও। তবে দেশের ভাইরোলজিস্ট এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে চীনের মতো পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। 

প্রতিবেশী চীনের পরিস্থিতি ভারতকে কীভাবে প্রভাবিত করবে?

চিনে COVID-19 হওয়ার তিন বছর পর দেশটি এখন মহামারীর সবচেয়ে খারাপ প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই সংক্রমিত হয়েছেন। বিপদ ঘনীভূত হচ্ছে। চিনের শহরগুলিতে হাসপাতাল বিশেষ করে রাজধানী বেজিং রোগীতে পরিপূর্ণ। একই সঙ্গে করোনায় মৃতদের লাশেমর্গগুলো ভরে গেছে। তবে এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের বিষয়ে চিনা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। চিন বরাবরই পরিসংখ্যান লুকানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে।

চীনের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত

বিখ্যাত ভাইরোলজিস্ট ডক্টর গগনদীপ ক্যাং বলেছেন, "এই মুহূর্তে চিনে তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়া চলছে। যদি আবহাওয়ার সাথে গাণিতিক হিসাব করা হয় তবে অনুমান করা হয় যে চিনে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৪০০ মিলিয়ন পর্যন্ত হতে পারে। এবং আগামী তিন মাসে পাঁচ থেকে দুই মিলিয়ন লোকের মৃত্যু হতে পারে।” 

এর অনেক কারণ রয়েছে। প্রথম কারণ হল সেখানে বয়স্কদের কম টিকা দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় কারণ, বুস্টার ডোজ কার্যকরভাবে দেওয়া হয়নি। তৃতীয় কারণ হল চীন এখন পর্যন্ত বড় আকারের কোয়ারেন্টাইন এবং কঠোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা ক্রমবর্ধমান জনতার প্রতিবাদের মুখে প্রায় তিন বছর পর সম্প্রতি তুলে নেওয়া হয়েছে। 


তামিলনাড়ুর ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিকেল কলেজের কাং বলেছেন “চতুর্থ কারণ হল শীতকালে হাসপাতালে সাধারণত অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণের কারণে রোগীদের ভিড় থাকে এবং একই সময়ে কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রেও বৃদ্ধি পাওয়া যায়। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন- ক্লান্ত ডাক্তার হাসপাতালে মাটিতেই ঘুমোচ্ছেন, চিনে COVID-তাণ্ডবের VIDEO

এটা কি ভারতের জন্য বিপজ্জনক?

২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত, চীনে ১০,৭২,০০৪ টি সংক্রমণের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে যেখানে সরকারী তথ্য অনুসারে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩১,৩০৯। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের জন্য কী বিপদ। এই বিষয়ে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ভারত এখনও পর্যন্ত তিনটি COVID-19 তরঙ্গের সাথে লড়াই করেছে। গত বছর ডেল্টা ভেরিয়েন্ট নিয়ে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তা হয়নি। ২০ ডিসেম্বর ভারতে সক্রিয় মামলা ছিল ৩,৫৫৯ এর কম। বর্তমানে BF.7 সহ চীনে অমিক্রন রয়েছে।
চলতি ডিসেম্বরে বিক্ষোভের মধ্যে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেয় চীন সরকার। এর পর থেকেই দেশটিতে সংক্রমণ বাড়ছেই। আগামী মাসে চীনে নতুন চান্দ্রবর্ষ উদ্‌যাপন করা হবে। উৎসবটি ঘিরে দেশটির ১৪০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চীনের শূন্য করোনা নীতি (জিরো-কোভিড) ভাইরাসটির আগের ধরনগুলো রুখতে হয়তো কার্যকর ছিল। তবে শক্তিশালী অমিক্রন ধরন ঠেকিয়ে রাখা দেশটির জন্য একপ্রকার অসম্ভব হবে।
করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত করোনায় কোনও মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেনি চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। 
বিশেষজ্ঞদের অনেকেই আবার বলছেন, আগামী জানুয়ারিতে চীনে করোনার সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে। দেশটির প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ এ সময় করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকবেন বয়স্ক ও আগে থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত—এমন ব্যক্তিরা।

আরও পড়ুন- 'হয় COVID-বিধি মানুন, না হয় ভারত জোড়ো যাত্রা বন্ধ করুন,' রাহুলকে চিঠি কেন্দ্রের

 

POST A COMMENT
Advertisement