গত বছর করোনা মোকাবিলায় 'করোনিল' ট্যাবলেট এনে বিতর্কে জড়িয়েছিল রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। বাধঅয হয়ে সেই সময় পতঞ্জলি জানিয়ে ছিল, করোনা রুখতে কোনও ওষুধ তারা আবিষ্কার করেনি। তবে গত সপ্তাহেই ফের একবার অতিমারির ওষুধ আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করেছিলেন বাবা রামদেব। পতঞ্জলি দাবি করেছিল নতুন ওষুধ প্রমাণের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছিল। তবে পতঞ্জলির তৈরি করোনা ভাইরাসের ওষুধকে নিয়ে ফের নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আর এবার এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বর্ষ বর্ধনের কাছে জবাব তলব করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
গত শুক্রবার রামদেব ফের একবার ‘করোনিল’ লঞ্চ করেন। তাঁর সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ও নীতীন গড়করি। তিনজনেই জানিয়েছিলেন, এই ওষুধ ফার্মাসিউটিক্য়াল প্রোডাক্ট ( CoPP) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস (WHO GMP) একে শংসাপত্র দিয়েছে। এই দুই ক্ষেত্রের সম্মতি পাওয়া মানে পণ্যটি মেডিক্যাল প্রোডাক্ট। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন কোনও শংসাপত্র দেয়নি বলে দাবি করছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। আর তা নিয়েই আইএমএ আপত্তি জানিয়েছে।
রামদেব করোনিল বাজারে আনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুক্রবার একটি ট্যুইটবার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়, ‘কোভিড ১৯-এর চিকিৎসার জন্য হু চিরাচরিত কোনও ওষুধের কার্যকারিতা পর্যালোচনা করেনি বা অনুমোদন দেয়নি।’ কোনও নাম করা না হলেও রামদেবের দাবির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই ট্যুইট করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরপরই IMA রামদেবের করোনিলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও কাঠগড়ায় তুলছে। হর্ষ বর্ধন নিজেও একজন চিকিৎসক। তা সত্ত্বেও তিনি কীভাবে এই মিথ্যা সমর্থন করলেন? আইএমএ জানতে চেয়েছে, করোনিলই যদি রোগ প্রতিরোধের পক্ষে কার্যকর হয়, তা হলে সরকার টিকার জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করছে কেন? এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেশকে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া উচিত বলে দাবি করছে আইএমএ।