জনসংখ্যার ভিত্তিতে লোকসভার আসন বাড়লে কী প্রভাব? উত্তর Vs দক্ষিণ সংঘাত

এবার বিষয় হচ্ছে ২০২৬-এর পর লোকসভার আসন জনসংখ্যার ভিত্তিতে বাড়বে। আর সেই ইস্যুতেই দক্ষিণ বনাম উত্তর ভারতের সংঘাত শুরু হয়েছে। দক্ষিণের রাজ্যগুলি জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির ওপরে আপত্তি জানিয়েছে। তেলেঙ্গানার মন্ত্রী তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেতা কেটি রামারাও বলেন, জনসংখ্যার ভিত্তিতে লোকসভা আসনের সীমানা নির্ধারণ করা হলে তা হবে দক্ষিণের রাজ্যগুলির প্রতি 'ঘোরতর অবিচার'।

Advertisement
জনসংখ্যার ভিত্তিতে লোকসভার আসন বাড়লে কী প্রভাব? উত্তর Vs দক্ষিণ সংঘাতনয়া সংসদ ভবন
হাইলাইটস
  • সাংসদ সংখ্যা বাড়তে পারে লোকসভার
  • আসন বাড়বে জনসংখ্যার ভিত্তিতে
  • শুরু নয়া সংঘাত

নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনে অনুপস্থিত থাকে বেশকিছু দল। এবার প্রকাশ্যে এল নয়া ইস্যু। এবার লোকসভার আসন নিয়ে শুরু নয়া আলোচনা। ১৯৭১ সালের জনগণনা অনুসারে, বর্তমানে লোকসভায় ৫৪৫টি আসন রয়েছে। আসন সংখ্যা ২০২৬ পর্যন্ত এমনটাই থাকবে। কিন্তু এরপর আসন সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই কারণেই সংসদের অধিবেশন কক্ষে ৮৮৮ জন সাংসদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

এবার বিষয় হচ্ছে ২০২৬-এর পর লোকসভার আসন জনসংখ্যার ভিত্তিতে বাড়বে। আর সেই ইস্যুতেই দক্ষিণ বনাম উত্তর ভারতের সংঘাত শুরু হয়েছে। দক্ষিণের রাজ্যগুলি জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির ওপরে আপত্তি জানিয়েছে। তেলেঙ্গানার মন্ত্রী তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেতা কেটি রামারাও বলেন, জনসংখ্যার ভিত্তিতে লোকসভা আসনের সীমানা নির্ধারণ করা হলে তা হবে দক্ষিণের রাজ্যগুলির প্রতি 'ঘোরতর অবিচার'।

দক্ষিণের রাজ্যগুলিকে কঠোর শাস্তি!
রামারাও বলেন, কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানার মতো রাজ্য যারা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের প্রগতিশীল নীতির জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও দাবি করেছেন যে, সীমাবদ্ধতার সুবিধা উত্তরের সেই রাজ্যগুলিতে যাবে, যারা কেন্দ্রীয় সরকারের আবেদন সত্ত্বেও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে না।

এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও। ওয়াইসি বলেন, যে রাজ্যগুলি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং যেখানে প্রজনন হার কমেছে, সেই রাজ্যগুলিকে শাস্তি দেওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, যেভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে তাতে ৫০ শতাংশ জনসংখ্যাই হবে তিন-চারটি রাজ্যে। কর্ণাটকের বিধায়ক এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ছেলে প্রিয়াঙ্ক খাড়গেও বলেছেন যে, জনসংখ্যার ভিত্তিতে সীমাবদ্ধতা দক্ষিণ রাজ্যগুলির জন্য অন্যায্য হবে।

দক্ষিণ ও উত্তর ভারতে কোন কোন রাজ্য রয়েছে?
দক্ষিণ ভারতে মোট পাঁচটি রাজ্য রয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, কেরালা এবং কর্ণাটক। এগুলি ছাড়াও তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে। সেগুলি হল লাক্ষাদ্বীপ, পুদুচেরি এবং আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। এক্ষেত্রে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকেও দক্ষিণ ভরতের মধ্যে গণনা করা হয়।

Advertisement

অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, চণ্ডীগড়, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশ উত্তর ভারতে পড়ে। সাধারণ ধারণায় হিন্দিভাষী রাজ্যগুলিকে উত্তর ভারতে গণনা করা হয়। তাই, দক্ষিণ ভারতীয়রাও হিন্দিভাষী রাজ্যগুলি যেমন বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়কে উত্তর ভারতের অংশ হিসাবে বিবেচনা করেন। অন্যদিকে ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে, বাংলা বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড় পূর্ব ভারতে পড়ে। আর রাজস্থান পড়ে দেশের পশ্চিম অংশে।

আরও পড়ুন - বাড়বে সম্পদ-ঘরে থাকবে অপার শান্তি, শুধু এই দিকে রাখুন ময়ূর পালক


 

POST A COMMENT
Advertisement