ত্রিপুরার ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে চলছে উপনির্বাচন (Tripura By Election 2022)। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়াগা থেকে শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল-সহ অন্যান্য বিরোধিরা। কোথাও কোথাও আবার ভোটারদের বাধা দেওয়া এবং ভোটলুঠ ও কারচুপিরও অভিযোগ উঠছে। এছাড়া সাংবাদিকদের ওপরেও হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতে ভোটারদের জন্য হেল্পলাইন চালু তৃণমূল কংগ্রেসের।
চার কেন্দ্রের জন্যেই হেল্পলাইন চালু করেছে তৃণমূল (TMC)। আগরতলা কেন্দ্রের হেল্পলাইন নম্বর ৯০৮৩০০৬২৩৮, টাউন বরদোয়ালি কেন্দ্রের নম্বর ৯০৮৩০০৬৮২০, ধলাই কেন্দ্রের নম্বর ৯০৮৩০০৪৮৯০ এবং যুবরাজনগর কেন্দ্রের নম্বরটি হল ৯০৮৩০০৩১৬৪। এই বিষয় তৃণমূলের স্টেট ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'মানুষ যাতে ভোট দিতে পারেন সেটা দেখার দায়িত্ব অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের। আমরাও কন্ট্রোল রুম খুলেছি। মানুষ অসুবিধায় পড়লে আমাদের ফোন করে জানান। আমরা নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।'
দলীয় কর্মীদের ওপরে হামলা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছে ঘাসফুল শিবির। এই বিষয়ে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার অভিযোগ, সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে সামনে রেখে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসে কর্মীদের ওপরে হামলা চালানো হয়েছে। তৃণমূলের দাবি হামলাকারীরা বিজেপির সদস্য।
এদিকে তৃণমূল প্রার্থী অর্জুন নমঃশূদ্রের গাড়িতেও হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন সুরমার তৃণমূল প্রার্থী। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ তৃণমূল নেতা দীপক দাসের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। সেখানেও বাড়ি ঘিরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। প্রার্থীর ওপরে এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুবল ভৌমিক। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'দুর্বৃত্তায়নকে মদত দিচ্ছে ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার। নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে সরকারের মদতপুষ্ট হার্মাদবাহিনী হামলা চালাচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপর। আমাদের দলের তরফ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।' যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি (BJP)।
আরও পড়ুন - Flipkart নয়া সেল, অবিশ্বাস্য কম দামে মিলছে 5G স্মার্টফোন
আরও পড়ুন - সরকারি ব্যাঙ্কে প্রচুর নিয়োগ, আবেদনের তারিখ-যোগ্যতা বিস্তারিত