Durga Puja 2025: এবারের পুজোয় চমকে দিতে প্রস্তুত শিলিগুড়ির স্বস্তিকা যুবক সংঘ। ৬৮ বছরে পা দেওয়া এই পুজো কমিটি এবার তৈরি করছে উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম দুর্গা প্রতিমা। উচ্চতা ৫১ ফুট। শুধু শিলিগুড়ি নয়, গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই এই দুর্গার আকর্ষণ ছড়িয়ে পড়েছে পুজোর আগেই।
ক্লাব সূত্রে খবর, প্রতিমা নির্মাণে ব্যস্ত এক দল দক্ষ শিল্পী, যাঁদের নেতৃত্বে রয়েছেন কুমোরটুলির অভিজ্ঞ মৃৎশিল্পী। বাঁশ, কাঠ, কাপড় ও ফাইবার দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই বিরাট মূর্তি। নিরাপত্তার খাতিরে প্রতিমার সামনে থাকবে শক্তপোক্ত ব্যারিকেড। দর্শনার্থীরা প্রতিমা দেখবেন নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দেশপ্রিয় পার্কের পুজোর কথা মাথায় রেখে তাঁরা দর্শনার্থীর সুরক্ষাতে প্রাধান্য দিয়েছেন। এটাই প্রথম অগ্রাধিকার। মণ্ডপে ঢোকা ও বেরোনোর জন্য থাকবে আলাদা পথ, থাকছে সিসিটিভি নজরদারি ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।
এত বড় প্রতিমা কেন? ক্লাব সদস্যদের বক্তব্য, “স্বস্তিকার পুজো একসময় শিলিগুড়ির প্রধান আকর্ষণ ছিল। সেই গৌরব ফিরিয়ে আনতেই এই অভিনব প্রয়াস। আমাদের স্বপ্ন, এই দুর্গা হয়ে উঠবে উত্তরবঙ্গের 'আইকনিক' প্রতিমা।”
ইতিমধ্যেই শহরের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন নির্মীয়মাণ প্রতিমা দেখতে। অনেকেই বলছেন, “এ রকম বড় দুর্গা আগে দেখিনি। ছবি, ভিডিওয় দেখেছি কলকাতায় হয়, এবার নিজের শহরেই দেখব। ভাবতেই ভালো লাগছে।” উৎসবের আবহে উত্তরবঙ্গের পুজোমণ্ডপে এবার প্রতিযোগিতা নতুন রঙ নিচ্ছে। আর তারই মুকুটে নতুন পালক হয়ে উঠছে স্বস্তিকার এই আকাশছোঁয়া দুর্গা।
পুজো কমিটির সম্পাদক বাপ্পা পাল বলেন, ‘কলকাতায় সবচেয়ে বড় প্রতিমা গড়ার পর যেধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল সেরকম ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে কড়া নজরদারি রাখা হবে। তাই প্রথম থেকে প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের এবিষয়ে আলোচনা চলছে।’ এছাড়া তিনি জানান, পুজোমণ্ডপের কাছে দর্শনার্থীদের আসতে দেওয়া হবে না। প্রায় ৩০ ফুট দূর থেকে প্রতিমা দর্শন করতে হবে। ঢোকার এবং বেরোনোর পথে যথেষ্ট নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে সুষ্ঠু পরিকল্পনা করা হবে। তৃতীয়ায় পুজোর উদ্বোধন হবে।