সিদ্ধিদাতা গণেশের (Ganpati) জন্মোৎসব গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi) নামে পরিচিত। ভাদ্রপদ মাসের চতুর্থী তিথির শুক্লপক্ষে সাধারণত পালিত হয় এই উৎসব। গণেশ চতুর্থীতে প্রায় সারা দেশজুড়ে মহাসমারোহে চলে উৎযাপন। বিশ্বাস করা হয় যে, নিষ্ঠা করে সমস্ত নিয়মকানুন মেনে সিদ্ধিদাতার পুজো করলে, সুখ -শান্তি বজায় থাকে, সমৃদ্ধি হয় এবং সমস্ত বাধা দূর হয়। এই বছর গণেশ চতুর্থী পড়েছে ২৭ অগাস্ট, বুধবার।
সারা দেশে গণেশ চতুর্থী উৎসব মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে। আগে মূলত ব্যবসায়ীরা গণেশ চতুর্থী পালন করতেন। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ বাড়িতেও আয়োজন করা হয় গণেশ বন্দনার। এদিন অনেকেই বাড়িতে গণেশ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তবে জেনে রাখা ভাল, গণেশ চতুর্থীতে গণেশের প্রতিমা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, গণেশের প্রতিমার সঠিক রং নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিন কোন রঙের গণেশের কী মাহাত্ম্য।
হলুদ
হলুদ রঙের গণেশকে হরিদ্র গণেশ বলা হয়, যার ছয়টি বাহু রয়েছে। রং হলুদের মতো। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, তাকে এরকম রঙের গণেশ প্রতিমা স্থাপন করলে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। এই গণেশ বাড়িতে এলে আর্থিক অবস্থাও ভাল হয়।
লাল
মঙ্গলকে লাল রঙের অধিপতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যাকে শক্তির প্রতীক বলা হয়। লাল রঙের গণেশকে সংকষ্টহরণ গণেশ বলা হয়। বিশেষ করে অফিস বা কর্মক্ষেত্রে এটি স্থাপন করা শুভ বলে মনে করা হয়।
সাদা
সাদা রঙের গণপতিকে শুভ গণপতি বা দ্বিজ গণপতি বলা হয়। সাদা রঙকে শান্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই এটিকে জ্ঞান এবং শান্তিরও সূচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ছাত্রদের পড়ার টেবিলে এমন গণপতি রাখা শুভ।
নীল
নীল রঙের গণপতিকে উচ্ছিত গণপতি বলা হয়, যার চার বাহু রয়েছে। তন্ত্রবিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কিত আচার-অনুষ্ঠানে তাঁর পুজো করা উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। নীল রঙের গণপতিকে পবিত্রতা এবং অশুদ্ধতার জন্যও পুজো করা হয়। তাই, এরকম রঙের গণেশ মূর্তি পুজা করার আগে, একজন জ্যোতিষী বা পুরোহিতের পরামর্শ নিন।
গেরুয়া
গেরুয়া রঙের গণপতির পুজো করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। বলা হয় যে এই রঙটি গণেশের প্রিয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘরে গেরুয়া রঙের গণপতি স্থাপন করলে জীবনে শুভতা আসে।