ভারতবর্ষ উৎসব প্রধান দেশ। বছরভর নানা অনুষ্ঠান উদযাপন পালন করেন ভারতবাসীরা। কিছুদিন আগেই পালিত হয়েছে জগন্নাথ মহাপ্রভুর স্নানযাত্রা উৎসব। সেরকমই একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল রথযাত্রা। ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে মূলত এই উৎসব বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। বিশেষ তিথিতে ধুমধাম করে রথযাত্রার উৎসব পালিত হয় পুরী, মাহেশ, ইস্কনের মন্দিরে। শুরু তাই নয়, যে সমস্ত মন্দিরে ও বনেদি বাড়িতে জগন্নাথ দেব আছে, সেখানেও ঘটা করে পালন করা হয় এই উৎসব।
রথযাত্রা ২০২৪-র দিনক্ষণ (Rath Yatra 2024 Date- Time)
রথযাত্রা - ৭ জুলাই (২২ আষাঢ়), রবিবার। দ্বিতীয়া শুরু ৬ জুলাই রাত ৪/২/৩৫ -এ এবং শেষ ৭ জুলাই রাত ৪/৩১/৪০ মিনিটে।
উল্টো রথযাত্রা (পুনর্যাত্রা) - ১৬ জুলাই (১ শ্রাবণ), মঙ্গলবার।
কেন পালন হয় রথযাত্রা উৎসব? (Why Rath Yatra Is Celebrated)
রথযাত্রার সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা পুরাণের কথা। স্নান যাত্রার পর নিভৃতবাস থেকে বেড়িয়ে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথে চড়ে, দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রাকে নিয়ে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথদেব। আবার মনে করা হয় দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর কৃষ্ণের বৃন্দাবন প্রত্যাবর্তনের স্মরণে এই উৎসব আয়োজিত হয়ে থাকে।
শোনা যায়, শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথে চড়ে দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রাকে দেখতে যান জগন্নাথদেব। সেই উপলক্ষ্যে ওই তিথি মেনে গুন্ডিচা মন্দিরে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার আয়োজন হয়। এই যাত্রাকে সোজা রথ যাত্রা বলা হয়। এরপর সাত দিন পর মন্দির থেকে দেবতার ফিরতি যাত্রাকে উল্টো রথযাত্রা বলা হয়।
পুরীর রথ (Puri Rath Yatra)
জগন্নথধাম পুরী ঘিরে প্রচলিত রয়েছে একাধিক কাহিনি। পুরীর রথে জগন্নাথ মহাপ্রভুর দর্শন হওয়া খুব শুভ বলে বিবেচিত। জগন্নাথ, শুভদ্রা ও বলভদ্রর জন্য তিনটি রথ তৈরি করা হয়। যা দেখার জন্য ফি বছর ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও দর্শনার্থী। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, কোনও ব্যক্তি যদি রথযাত্রায় পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে অংশ নেন, তাহলে জন্ম ও মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্ত হয়ে উঠতে পারেন তিনি।
রথযাত্রা উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চলে এই উৎসব উপলক্ষে যাত্রাপালাও মঞ্চস্থের রীতি বেশ জনপ্রিয়।