Vishwakarma Puja 2024 Bratakatha: বিশ্বকর্মা পুজো শুধু কারিগর কিংবা কলকারখানার শ্রমিকদের জন্য নয়, বরং যাঁরা যন্ত্রপাতি, শিল্প প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বা যানবাহনের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের সবাইের মধ্যে ব্যাপক শ্রদ্ধার বিষয়। প্রতিটি বছর ভাদ্র মাসের শেষ দিন, অর্থাৎ ভাদ্র সংক্রান্তিতে এই পবিত্র পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বাস, এই দিনে বিশ্বকর্মার আশীর্বাদে উন্নত ভবিষ্যৎ, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ লাভ হয়।
পৌরাণিক কাহিনী মতে, বিশ্বকর্মা ব্রহ্মাণ্ডের প্রথম নকশাকারক ছিলেন। তাঁর নামে এই পূজা হওয়ায় বাঙালি সমাজে এটি বিশেষ মর্যাদা পায়। ভাদ্র সংক্রান্তির দিন বাড়ি, কারখানা, দোকান এমনকি যন্ত্রপাতি ও যানবাহনের সামনে ফুল দিয়ে পুজো করা হয়। যারা নানা যন্ত্রপাতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের জন্য এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বকর্মার ব্রতকথায় আছে, কাশীর এক রথচালক কঠোর পরিশ্রম করেও দারিদ্র্য কাটাতে পারেননি। স্ত্রী-স্বামীর সন্তানলাভের আশাও পূরণ হয়নি। এক মহর্ষির পরামর্শে ভাদ্র সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মার পূজা করায় তার সংসারের সব দুঃখ-দুর্দশা দূর হয়। পরে তিনি নিজে একটি কারখানা খোলেন ও একটি সন্তান লাভ করেন। এ থেকেই বিশ্বকর্মা পূজার প্রচলন শুরু হয়।
সাধারণত এই দিন পুজোর পর ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি আছে। এছাড়া, পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসীরা পূজার আগের রাত জেগে রান্না-পরিবেশন করেন, যা বাঙালিদের মধ্যে একটি জনপ্রিয় সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত।
বিশ্বকর্মা পুজো শুধু একটি ধর্মীয় আচার নয়, এটি শ্রমিক থেকে শিল্পপতি, সকলের মধ্যে পরিশ্রমের মর্যাদা ও নিরাপত্তার প্রতীক। তাই এই দিনে সকলে মিলিত হয়ে প্রার্থনা করেন, যেন পরবর্তী বছর আরও সফল ও সমৃদ্ধিতে ভরপুর হয়।