২০ মার্চ সারা দেশে হোলি খেলা হবে। কিন্তু কাশিতে একাদশী থেকেই শুরু হয়ে যায় হোলির রং খেলা। কাশি মহাশ্মশানে চিতাভস্ম দিয়ে খেলা শুরু হয়।
কাশির মহাশ্মশান হরিশচন্দ্র ঘাটে চিতার আগুন কখনও নেভে না। ২৪ ঘণ্টা দেহ সৎকারের জন্য লোক সমাগম হয়।
বছরের বাকি দিনে যখন প্রিয়জনকে হারানোর শোক ছেয়ে থাকে শ্মশানে, বছরের একটা দিন পরিবেশ অন্যরকম হয়ে যায়।
হোলির আগের একাদশীতে শ্মশানে বহু মানুষ একত্রিত হন এই প্রাচীন রীতি প্রত্যক্ষ করতে। এখানে বহু সাধু, অঘোরীরা আসেন চাতিভস্ম দিয়ে হোলি খেলতে।
এই প্রথার পিছনে একটা প্রাচীন কাহিনি রয়েছে। বলা হয়, এই দিনে দেবী পার্বতীকে নিয়ে কাশিতে আসেন মহাদেব। সে সময় শ্মশানে গিয়ে প্রিয় সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে হোলি খেলতে পারেননি শিব।
তাই মনে করা হয়, এই একাদশীর দিনে শিবশম্ভু তাঁর প্রিয় সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে হোলি খেলতে আসেন এই মহাশ্মশানে।
শহরে বিরাট শোভাযাত্রাও বার করা হয়। কিনারাম আশ্রম থেকে বার হয়ে হরিশচন্দ্রঘাটের মহাশ্মশানে এই শোভাযাত্রা আসে।
অনাড়ম্বর মহাদেব চিতাভস্ম মেখে সাজতেন। সেটাই তাঁর বসন। সেই প্রথা মেনে এ দিন বহু মানুষ চিতাভস্ম মাখেন।