প্রদীপ ছাড়া দীপাবলি সম্ভব নয়। ধনতেরাসে ছোট ছোট প্রদীপ কিনুন। সঙ্গে তিনটি বড় প্রদীপও কিনুন। এগুলি দিয়েই দিপাবলীর পুজো হবে। একটি বড় প্রধান প্রদীপ থাকবে যা মা লক্ষ্মীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হবে। দ্বিতীয় বড় প্রদীপে সরিষার তেল দিয়ে তা মা কালীকে উৎসর্গ করা হবে। আর তৃতীয় প্রদীপটি সরিষার তেলের প্রদীপের ওপর একটি বেঁকিয়ে রাখতে হবে, যাতে রাতারাতি তাতে কাজল তৈরি হয়।
দিওয়ালিতে মা লক্ষ্মী এবং গণেশের পুজো হয়। ধনতেরাসের দিনই তাঁদের তাদের প্রতিমা কিনুন। লক্ষ্মী-গণেশের প্রতিমা কেনার সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন। গণেশের শুঁড় বাম দিকে থাকতে হবে। মা লক্ষ্মী যেন পদ্মে উপবিষ্ট থাকেন, এবং তাঁর হাত থেকে ধনসম্পত্তি পড়ছে।
গোমতী চক্র একটি বিশেষ ধরণের পাথর। এটি অনেক রঙের হয়। সাদা রঙের গোমতী চক্র সবচেয়ে শুভ। ধনতেরাসে কমপক্ষে পাঁচটি গোমতী চক্র কিনুন। দীপাবলীর দিন গোমতী চক্র মা লক্ষ্মীর কাছে অর্পণ করুন। পরের দিন এটি টাকার জায়গায় রাখুন।
ধনতেরাসে কমপক্ষে পাঁচটি কড়ি কিনুন। দিওয়ালিতে সেগুলির পুজো করুন। এত অবিবাহিতদের বিয়ে হবে এবং ঋণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
রুপোকে সমৃদ্ধির ধাতু হিসাবে ধরা হয়। কথিত আছে যে, শিবের চোখ থেকে রুপোর সৃষ্টি। ধনতেরাসে রুপো কেনা অত্যন্ত শুভ। যে রুপোটি কিনবেন সেটা দিয়েই দিওয়ালির পুজ করবেন এবং তা সারাবছর সাবধানে রাখবেন।
ঝাঁটাকে মা লক্ষ্মীর প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। ধনতেরাসে দুটি ঝাঁটা কিনবেন। দিওয়ালি পুজোর পরের দিন থেকে সেগুলি ব্যবহার করনে। পাশাপাশি দিওয়ালির পরের দিন বাড়ি থেকে পুরানো ঝাঁটাটি ফেলে দিন ঘুরিয়ে দিন। ধনতেরাসে ঝাঁটা কিনলে সারা বছর স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। নেতিবাচক শক্তি মুছে যায়।
ধনতেরাসে অবশ্যই কোনও ধাতব পাত্র কিনুন। জ্যোতিষ মতে, জলের পাত্র কিনলে সবচেয়ে ভাল। আপনি যদি সোনা বা রুপোর গয়না কিনতে নাও পারেন তবে একটি হলেও পাত্র কিনুন। এক চামচও কিনতে পারেন। এই চামচটিকে আপনার সৌভাগ্য হিসেবে রোজ পুজোয় সামলি করুন।এতে আপনার সমৃদ্ধি ঘটবে।
ধনতেরাসে ধনের বীজ কেনার পরম্পরা রয়েছে। এটিকে সমৃদ্ধির প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। লক্ষ্মী পুজোর সময় এই বীজ অর্পণ করুন এবং পুজোর পরে কোনও পাত্র বা বাগানে তা বপন করুন। এছাড়া গোমতী চক্রের সাথে আপনার লকারে কিছু বীজ রাখুন।