জ্যোতির্বিদ্যার দিক থেকে এই বছরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই বছর মোট চারটি গ্রহণ (Eclipse) হবে। এর মধ্যে দুটি সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse) এবং দুটি চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse)। ইতিমধ্যে দুটি গ্রহণ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থেকেছেন বিশ্ববাসী। এটি আংশিকভাবে ভারতের লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশ ছাড়া আর কোথাও দেখা যায়নি। জেনে নি বাকি গ্রহণগুলি কবে হবে।
২০২১ সালের দ্বিতীয় এবং শেষ সূর্যগ্রহণ হবে আগামী ৪ ডিসেম্বর এবং এটি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে। মূলত দক্ষিণ গোলার্ধে এই গ্রহণ দেখা যাবে। এটি কেবলমাত্র আন্টার্কটিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, আটলান্টিক মহাসাগরের দক্ষিণ ভাগ, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকা থেকে দৃশ্যমান হবে। যদিও এটি ভারত থেকে দেখা যাবে না।
গত ২৬ মে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল। পূর্ণ গ্রাস চন্দ্রগ্রহণের অলৌকিক দৃশ্য বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেখা গিয়েছে। ভারতে আংশিক গ্রহণ দেখা গিয়েছে।
বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ১৯ নভেম্বর। দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে গ্রহণ শুরু হবে। চলবে বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিট পর্যন্ত। এটি আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হবে। ভারত, আমেরিকা, উত্তর ইউরোপ, পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এভং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চয় থেকে দেখা যাবে।
যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে পৃথিবীর অবস্থান করে এবং যখন চাঁদ পৃথিবীর ছায়া থেকে বের হয় তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। পৃথিবীর জন্য যখন সূর্যের আলো পুরোপুরি ঢাকা পড়ে তখন একে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। তবে যখন চাঁদের একটি অংশ ঢাকা পড়ে তখন একে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলে।
* পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ
আর যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ সম্পূর্ণভাবে একই সরলরেখায় আসে তখন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। সেক্ষেত্রে সূর্যের আলো চাঁদের দ্বারা পুরোপুরি বাধা পায়। ফলে কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের আলো দেখতেই পাওয়া যায় না। তখন দিনের বেলায় নেমে আসে অন্ধকার।
* আংশিক সূর্যগ্রহণ
যখন চাঁদের জন্য সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে বাধা পেলেও, একটা অংশের আলোয় শুধুমাত্র বাধা পায়, তখন এই ধরনের সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। অর্থাত্ এক্ষেত্রে সূর্যের একটা অংশ চাঁদের জন্য ঢাকা পড়ে আর বাকি অংশ দেখা যায়। এই আংশিক গ্রহণে সূর্যকে আধ খাওয়া ফলের মতো দেখতে লাগে।
* বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ
যখন সূর্যের বহিঃসীমা ছাড়া বাকি অংশ চাঁদের দ্বারা ঢেকে যায়, তখন তাকে বলে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। অর্থাত্ পৃথিবী থেকে কেবল সূর্যের বহিঃসীমা নজরে আসে। দেখে মনে হয়, ঠিক যেন একটা আংটি। একে রিং অফ ফায়ারও বলা হয়ে থাকে। এই ধরনের সূর্যগ্রহণ সবথেকে কম দেখা যায়। কারণ এই গ্রহণের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের সঙ্গে চাঁদের দূরত্ব নির্দিষ্ট হওয়া প্রয়োজন।