সাত শতাব্দী প্রাচীন বাঁকুড়ার (Bankura) ষাড়েশ্বর শিবের মন্দিরে আয়োজিত হল গাজন উৎসব। করোনা ও লকডাউনের জেরে গত গাজন উৎসব বন্ধ রাখা হয়। তবে এই বছর করোনা পরিস্থিতি থাকলেও আয়োজন করা হয় গাজনের। সেই উপলক্ষে বাবার মন্দির উপস্থিত হন অগনিত ভক্ত ও সন্ন্যাসী।
বাঁকুড়া জেলার অন্যতম প্রাচীন উৎসব এই ষাড়েশ্বরের গাজন। বিষ্ণুপুর শহর থেকে কিছুটা দূরে দারকেশ্বর নদের তীরে থাকা এই ডিহর গ্রামের মধ্যেই রয়েছে ল্যাটেরাইট পাথরের জোড়া মন্দির। এই মন্দিরগুলি ষাড়েশ্বর ও শৈলেশ্বর মন্দির নামে পরিচিত।
অনুমান করা হয় বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজা পৃথ্বিমল্ল ১৩৪৬ খ্রিষ্টাব্দে এই জোড়া মন্দির নির্মাণ করেন। ডিহরের এই জোড়া মন্দিরের প্রত্নতাত্বিক গুরুত্ব উপলব্ধি করে আর্কিলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া মন্দির দুটিকে অধিগ্রহণ করে।
বাবার টানে যুগ যুগ ধরে স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি দূর দূরান্তের ভক্তরা ভিড় জমান ডিহর গ্রামে। বিশেষ করে এখানকার মন্দিরের গাজন উৎসব সবথেকে বেশি জনপ্রিয়।
প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তির গাজন উৎসবে ভিড় উপচে পড়ে। গত বছর লক ডাউনের জেরে বন্ধ ছিল প্রাচীন এই গাজন উৎসব। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বারো মাসের তেরো পার্বনের শেষ উৎসব গাজন উৎসবের আয়োজন করা হয়।
গাজন উপলক্ষ্যে বিশেষ ব্রত পালন করেন ভক্ত ও সন্ন্যাসীরা। প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার ভক্ত ও সন্ন্যাসী ব্রত পালন করেন। মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে দ্বারকেশ্বর নদে শিবের গোত্র ধারন করেন ভক্ত সন্ন্যাসীরা।