সারা দেশের সঙ্গে সঙ্গে নদিয়ার মায়াপুর ইসকনেও পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী। করোনাকালে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ইসকন। তবে কাউকেই মূল মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
তবে করোনা বিধি মেনেই হচ্ছে জন্মাষ্টমী পালন। ভক্তবৃন্দের সংখ্যাও অন্য বছরের তুলনায় বেশ কম। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা আবহে কম সংখ্যাক ভক্ত নিয়ে এবারের উৎসব পালন করা হচ্ছে।
জন্মাষ্টমী হল বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি নামে পরিচিত এই দিনটি।
সাধারণভাবে ধরে নেওয়া হয়, শ্রীকৃষ্ণের জন্ম খ্রীষ্টপূর্ব ৩২২৮ সালের ১৮ জুলাই এবং তাঁর মৃত্যু খ্রীষ্টপূর্ব ৩১০২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। শ্রীকৃষ্ণের অর্ন্তধানের দিনই কলির আবির্ভাব।
রাখি বন্ধনের ঠিক ৮ দিন পর সারা ভারতবর্ষে জন্মাষ্টমী পালন করা হয়। এই বিশেষ দিনে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রাধিকা, বলরাম ও সুভদ্রার পুজোও করা হয়।
শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরায়। তিনি বেড়ে উঠেছিলেন গোকুলে। সেই কারণে মথুরা আর বৃন্দাবনে এই উৎসব সর্ববৃহৎ।
নিয়ম মেনে দূরত্ববিধি বজায় রেখে জন্মাষ্টমী পালন হচ্ছে মায়াপুরে। এই অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ পুষ্পবৃষ্টি। আর তা দেখানোর জন্য মূল মন্দিরের বাইরে বসানো হয়েছে জায়েন্ট স্ক্রিন।