গোটা শ্রাবণ মাস ধরেই চলে ভগবান শ্রী ভোলানাথের বিশেষ পুজো। এই সময় বেলপাতা, ধুতরা বা চন্দনের মতো উপকরণ দিয়ে ভগবান শিবের পুজো করলে তিনি তুষ্ট হন বলে বিশ্বাস। অন্যদিকে কিছু উপকরণ রয়েছে, যা কোনওভাবেই দেওয়া যায় না শিব ঠাকুরকে। কারণ সেই সমস্ত উপকরণে নাকি রুষ্ট হতে পারেন ভগবান।
হলুদ - বেশকিছু পুজোয় হলুদের ব্যবহার করা হলেও শিবপুজোয় কখনই নয়। শাস্ত্রমতে শিবলিঙ্গ পৌরুষের প্রতীক। অন্যদিকে হলুদ হল সাাজগোজের সামগ্রী। তাছাড়া ভগবান শ্রীবিষ্ণুর সঙ্গে হলুদের সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া সৌভাগ্যের সঙ্গেও এটি সম্পর্ক যুক্ত। তাই শিবপুজোয় হলুদের ব্যবহার হয় না। কারণ এর ফলে চন্দ্র দুর্বল হয়ে পড়ে বলে মনে করা হয়।
কুমকুম বা সিঁদুর - কেউ কেউ শিবপুজোয় সিঁদুর ব্যবহার করেন। তবে এই পুজোয় সিঁদুর ব্যবহার করা উচিত নয়। শিবপুজোয় মহাদেবকে বিনাশকারী হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তাই সিঁদুর ব্যবহার উচিত নয়।
তুলসীপাতা - অনেক পুজোতেই তুলসীপাতা ব্যবহার হয়। তবে শ্রাবণ মাসে শিবপুজোয় এটি ব্যবহার করা যায় না। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান শিব তুলসীর স্বামী অসুর জলন্ধরকে হত্যা করেছিলেন, যার কারণে তুলসী ক্রুদ্ধ হয়ে ভগবান শিবকে তাঁর দৈব গুণ সম্পন্ন পাতা থেকে বঞ্চিত করেন।
লাল এবং কেতকী ফুল - মহাদেবের পুজোয় লালফুল ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। কথিত আছে, মিথ্য বলার কারণে কেতকী ফুলকে একবার শিব অভিশাপ দিয়েছিলেন যে তাঁর পুজোয় কখনই এর ব্যবহার হবে না।
নারকেলের জল - নারকেলকে মা লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এই দিয়ে ভগাবন শিবের পুজো একদমই করা উচিত নয়। বলা হয়, শিবলিঙ্গে অর্পণ করা কোনও উপকরণ পরে গ্রহণ করা যায় না। তাই শিবপুজোয় নারকেল ব্যবহারের নিয়ম নেই।