দুর্গাপুজোর পরেই বাঙালির আরেক বড় উৎস জগদ্ধাত্রী পুজো। অনেকেই সারা বছর অপেক্ষা করে বসে থাকেন এই পুজোর। (ছবি: ফেসবুক)
পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন জায়গায় পুজো হলেও মূলত চন্দননগর ও কৃষ্ণনগরেই জগদ্ধাত্রী পুজো সবচেয়ে জনপ্রিয়। (ছবি: ফেসবুক)
তবে অনেকেরই অজানা, নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরেই জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রবর্তন হয় ১৯৬৬ সালে। (ছবি: সৌমিতা চৌধুরী)
শোনা যায়, নদীয়ায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের রাজত্বকালে নবাব আলিবর্দি খাঁ, তাঁর থেকে ১২ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র তা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে মুর্শিদাবাদের বন্দী করা হয়। (ছবি: ফেসবুক)
বন্দিদশা কাটিয়ে যখন রাজা কৃষ্ণনগরে ফিরছিলেন, তখন তিনি শুনতে পান দুর্গাপুজোর বিসর্জনের বাজনা বেজে গেছে। দুর্গাপুজোয় সেখানে উপস্থিত না থাকতে পারে অত্যন্ত কষ্ট পান তিনি। (ছবি: সৌমিতা চৌধুরী)
সেই রাতেই মা জগদ্ধাত্রী রাজার স্বপ্নে দর্শন দিয়ে তাঁকে পুজোর নির্দেশ দেন। সেই থেকে মা দুর্গার বিকল্প হিসেবে মা জগদ্ধাত্রীর আরাধনা শুরু হয় বাংলায়। (ছবি: ফেসবুক)
পরবর্তীকালে কৃষ্ণচন্দ্র রাজার পুজোর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ফরাসিদের দেওয়ান ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী তৎকালীন ফরাসডাঙ্গা অর্থাৎ বর্তমানের চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন। (ছবি: সৌমিতা চৌধুরী)
তৎকালীন সময়ে কৃষ্ণনগরের রাণীমা রাজবাড়ীতে বসেই জগদ্ধাত্রী মায়ের দর্শন করতেন। তাই সেই সময় থেকে নিয়ম মেনে দেবীর বিসর্জনের আগে রাজবাড়ীর সামনে থেকে ঘুরিয়ে আনতে হয় জগদ্ধাত্রী প্রতিমা কে। (ছবি: ফেসবুক)
জগদ্ধাত্রী পুজোর সকালে পালকিতে দেবীর ঘাট জলঙ্গীর জলে ভরে আনার প্রথা রয়েছে। (ছবি: সৌমিতা চৌধুরী)
তবে যোগাযোগ উন্নত হলেও এখনও প্রাচীন নিয়ম অনুযায়ী সাঙে করে অর্থাৎ কাঁধে চেপেই রাজবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন মা জগদ্ধাত্রী। (ছবি: সৌমিতা চৌধুরী)
কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির সামনে থেকে প্রদক্ষিণ করে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় জলঙ্গী নদীর তীরে। (ছবি: ফেসবুক)
দুর্গাপুজোর ন্যায় চার দিন ধরে পালিত হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। তবে অনেক জায়গায় শুধু নবমীর দিনই এই পুজো করা হয়। (ছবি: ফেসবুক)
এই বছর ২১ নভেম্বর পড়েছে জগদ্ধাত্রী পুজোর সপ্তমী। আগামী ২২ নভেম্বর বেলা ১২ টা ২১ মিনিট থেকে ২৩ নভেম্বর বেলা ২ টো ২ মিনিট পর্যন্ত থাকবে নবমী তিথি। (ছবি: ফেসবুক)