Kalipuja 2022: ২৫ অক্টোবর কালীপুজো। (Kali Puja)। কার্তিকী অমাবস্যা তিথিতে মাকালীর আরাধনা করবেন সকলে। মনে করা হয় মা মহাকালী জন্ম-মৃত্যু-সময় নিয়ন্ত্রণ করেন। খারাপ সময় থেকে ভাল সময় আনতে তাই অনেকেই দেবীর পুজোয় ব্রতী হন। তবে এর নিয়ম-কানুন বেশ কঠোর।
অনেকের পক্ষেই মহাকালীর কঠোর সাধনা করা বিভিন্ন কারণে সম্ভব হয় না। তাই হিন্দুশাস্ত্রে কালীপুজোর দিন কিছু উপাচারের কথা বলা রয়েছে, যা পালন করতে পারলে কালীপুজো করার পুণ্য অর্জন করা যায়। অন্য়দিকে সারা জীবন মায়ের কৃপা লাভ করা যায়। আর তাহলে কোনও সমস্যা থাকে না। আসুন জেনে নিই কীভাবে কোন উপাচারে মা-কে প্রসন্ন রাখা যাবে।
আরও পড়ুনঃ ধনতেরাসে সোনা-রুপোর বিকল্প হিসেবে এগুলি কিনুন, মিলবে একই লাভ
কী উপাচার করলে কালীপুজোর পুণ্য অর্জন হয়
১. কালীপুজোর দিন উপোস রাখুন। মায়ের পুজোর শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। অঞ্জলি দিয়ে তারপর উপাস ভাঙুন। ফল খেয়ে উপাস ভাঙতে পারলে ভাল। পরদিন আমিষ গ্রহণ করলে কোনও অসুবিধা নেই। কোথাও বলি হলে সেই প্রসাদও খেতে পারেন।
২. দুঃস্থ কাউকে প্রদীপ-মোমবাতি দান করুন। প্রতিবেশীদেরও দিতে পারেন। তাঁদের ঘর আলোকিত হলে আপনার ভাগ্যও চমকাবে।
৩. পুজোর আগে মায়ের থানে বা মায়ের উদ্দেশ্যে লাল চেলি এবং সিঁদুর, লাল জবা দান করুন। পুজো হয়ে গেলে তা বাড়িতে এনে ঠাকুর ঘরে রাখুন। পুজোর ফুল আলমারি বা সিন্দুকে রাখুন। লাল চেলিতে মুড়ে সিঁদুরের কৌটোটি রেখে দিন পুজোর জায়গায়। এতে অর্থাভাব অভাব দূর হবে, সৌভাগ্য বজায় থাকবে। কোনও শুভ কাজে যাওয়ার আগে ওই কৌটো থেকে সিঁদুরের তিলক পরে যান। সাফল্য আসবে।
৪. মাকালী একটা লাল ফল যেমন আপেল, আলুবোখরা বা চেরি দান করতে পারেন। লাল জবাফুল, মোমবাতি, ধূপ, মিষ্টান্ন দ্রব্য এবং একটি খড়্গ অর্পণ করুন। এতে সন্তানের লেখাপড়া, চাকরি ক্ষেত্রে বাধা দূর হয়। যাঁরা সন্তান চান, তাঁদের জন্যেও এই উপাচার খুব শুভ।
৫. কালীপুজোর দিন কৃষ্ণনাম জপ করুন। একই সঙ্গে দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনা করুন বাড়িতে। এতে সার্বিক শুভ ফল পাবেন।
আরও পড়ুনঃ দীপাবলিতে এভাবে লক্ষ্মীপুজো করলে আসে বৈভব-ধন-সম্পত্তি, জানুন নিয়ম
৬. সন্ধ্যের সময় বাড়ির চারদিকে আলোর মালা এবং প্রদীপ বা মোমবাতির আলোয় সাজিয়ে তুলুন। এতে ঘরে পজিটিভ এনার্জি তৈরি হয়। যাতে লক্ষ্মীলাভ হয় সংসারে।
৭. কালীপুজোর রাতে বাড়ির ঠাকুরঘরে সারা রাত একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন। সংসারে থাকা অশুভ শক্তির প্রভাব কেটে যাবে।
এই উপাচারগুলি করলে মায়ের পুজোর করার মতোই পুণ্যলাভ হয় এবং জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে।