আচার্য চাণক্য একজন মহান পণ্ডিত ছিলেন। তিনি চাণক্য নীতি রচনা করেছিলেন যা আজও প্রাসঙ্গিক। যে ব্যক্তি তাঁর জীবনে চাণক্যের নীতি অনুসরণ করে সফলতা অর্জন করে। ঐতিহাসিকদের মতে, আচার্য চাণক্য ছিলেন মৌর্য সাম্রাজ্যের সমসাময়িক। মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় আচার্য চাণক্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। চাণক্যের মতে, একটি শিশুর চারটি গুণ থাকে যা সে তার মাতৃগর্ভে শেখে। যেসব শিশুর মধ্যে এসব গুণ থাকে তারা ভবিষ্যতে খুব সফল হয়। জানুন চাণক্য মাতৃগর্ভে সন্তানের শেখার কী কী গুণের কথা বলেছেন।
দান
চাণক্য নীতির একাদশ অধ্যায়ের প্রথম শ্লোকে আচার্য চাণক্য বলেছেন, যে শিশু মাতৃগর্ভেই দান করার প্রবণতা শেখে। আচার্যের মতে, কোনও মানুষ চাইলেও জন্মের পরও এই দানের গুণটি শিখতে পারে না। অভিভাবকদের দান করার প্রবণতা থাকলে শিশুরাও দাতা হয়।
মিষ্টি কথা
আচার্য চাণক্যের মতে, শিশুরা তাদের পিতামাতার মূল্যবোধের উত্তরাধিকারী হয়। তাই বাবা-মায়ের মিষ্টি কথা বললে সন্তানদের মধ্যেও এই গুণটি আপনাআপনি চলে আসে। শিশুরা মাতৃগর্ভেই এই গুণগুলি শেখে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, বুধ যদি কোষ্ঠীতে শক্তিশালী হয় তবে ব্যক্তি নরমভাষী হয়।
ধৈর্য্য
চাণক্য নীতি অনুসারে, একজন ব্যক্তি তার মাতৃগর্ভেই ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের শিল্প শেখে। যে শিশু শৈশব থেকেই ধৈর্যশীল সে জীবনে একজন সফল মানুষ হয়ে ওঠে। এই ধরনের লোকেরা তাদের জীবনের প্রতিটি অসুবিধা সহজেই অতিক্রম করে। সেজন্য মানুষ চাইলেও জন্মের পর এই গুণটি শিখতে পারে না।
সঠিক এবং ভুল
চাণক্য নীতি অনুসারে, একটি শিশু তার মায়ের গর্ভে থাকাকালীনই সঠিক এবং ভুলের জ্ঞান শেখে। পিতামাতার মূল্যবোধ সন্তানের মধ্যে আসে। সেজন্য কোনও মানুষই চাইলেও জন্মের পর এই মূল্যবোধগুলি শিখতে পারে না।