
Dwijapriya Sankashti Chaturthi 2022: ২০ ফেব্রুয়ারি রবিবার দ্বিজপ্রিয় সংকষ্টী চতুর্থীর উপবাস পালিত হবে। এই দিনে ভগবান গণেশের ৩২টি রূপের মধ্যে তাঁর ষষ্ঠ রূপের পূজা করা হয়। বিশ্বাস অনুসারে, দ্বিজপ্রিয় সংকষ্টী চতুর্থীতে গণেশের পূজা করলে ব্যক্তির সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। খুশি হন এবং সুখ, সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের আশীর্বাদ দেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই দিনে গণেশের পুজো করার পদ্ধতি ও শুভ সময় সম্পর্কে।
দ্বিজপ্রিয়া সংকষ্টী চতুর্থী তিথি ও মুহূর্ত
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, দ্বিজপ্রিয় সংকষ্টী চতুর্থীর উপবাস ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রবিবার পালন করা হবে। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫৬ মিনিটে চতুর্থী শুরু হবে এবং ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫ মিনিটে শেষ হবে। সংকষ্টী চতুর্থীর দিন চন্দ্রোদয় হবে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে।
দ্বিজপ্রিয়া সংকষ্টী চতুর্থী উপবাসের গল্প
তথ্য অনুসারে, এক সময় এক মহাজন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে এক শহরে থাকতেন। উভয়ের কোনও সন্তান ছিল না। একদিন মহাজনের স্ত্রী তাঁর প্রতিবেশীর বাড়িতে দেখেন সেখানে সে সংকষ্টী চতুর্থীর পূজা করছিল। সেই কথা শুনে মহাজনের স্ত্রী বাড়িতে এসে পূর্ণ আচার-অনুষ্ঠান করে পূজার পরের চতুর্থীতে উপবাস রাখলেন। ভগবান গণেশের আশীর্বাদে মহাজন দম্পতি পুত্র লাভ করেন। মহাজনের ছেলে বড় হয়। তাই মহাজন আবার ভগবান গণেশের কাছে কামনা করল যে, তাঁর ছেলের বিয়ে ঠিক হলে তিনি উপবাস রাখবেন, প্রসাদ দেবেন।
কিন্তু ছেলের বিয়ে ঠিক হওয়ার পর মহাজন নিজের কথা ভুলে যান। এতে ভগবান গণেশ ক্ষুব্ধ হয়ে মহাজনের ছেলেকে বিয়ের দিন একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। কিছুক্ষণ পর এক অবিবাহিত মেয়ে ওই গাছের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় মহাজনের ছেলের গলা শুনে মাকে বলেন তিনি। এই সব জানার পর মহাজন স্ত্রী গণেশের কাছে ক্ষমা চাইলেন, প্রসাদ নিবেদন করে উপোস থাকলেন এবং পুত্রের প্রত্যাবর্তন কামনা করতে লাগলেন। ভগবান গণেশ মহাজনের ছেলেকে ফিরিয়ে দেন এবং মহাজন তাঁর ছেলেকে বিয়ে দেন। তারপর থেকে, পুরো শহরের সমস্ত মানুষ চতুর্থীতে উপবাস করে ভগবান গণেশের পূজা শুরু করেন।
দ্বিজপ্রিয় সংকষ্টী চতুর্থীতে কীভাবে পূজা করবেন
সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করুন, পরিষ্কার কাপড় পরুন।
ঘরের মন্দির পরিষ্কার করুন।
উত্তর দিকে মুখ করে ভগবান গণেশকে জল অর্পণ করুন।
জল নিবেদনের আগে অবশ্যই তাতে তিল দিতে হবে।
সারাদিন উপোষ রাখুন।
সন্ধ্যায় পুরো নিয়ম মতে গণেশের পূজা করুন।
ভগবান গণেশের আরতি দিন, ভোগে লাড্ডু নিবেদন করুন।
রাতে চাঁদ দেখে অর্ঘ্য নিবেদন করুন।
লাড্ডু বা তিল খেয়ে উপোষ ভেঙে ফেলুন।
তিল দান করুন।