নতুন বছর আসতে আর হাতে গোনা দিন বাকি। চলতি বছরের মতো ২০২৩ সালেও মোট চারটি গ্রহণ হবে। দুটি সূর্যগ্রহণ এবং দুটি চন্দ্রগ্রহণ৷ এপ্রিল মাসে দেখা যাবে, পরের বছরের প্রথম গ্রহণ। ২০২২ সালের শেষ চন্দ্রগ্রহণ হয়েছে কার্তিক পূর্ণিমায়, ৮ নভেম্বর। পূর্ব ভারতে এটি ছিল পূর্ণগ্রাস গ্রহণ। এটিই ছিল এবছরের শেষ গ্রহণ। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে নতুন বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালের গ্রহণ কবে দেখা যাবে? জানুন ২০২৩-র গ্রহণের দিনক্ষণ, স্থান।
২০২৩ সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ
* ২০ এপ্রিল, ২০২৩ - সম্পূর্ণ সূর্যগ্রহণ
* স্থান: দক্ষিণ/পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর এবং অ্যান্টার্কটিকা।
২০২৩ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ
* ৫-৬ মে, ২০২৩ - চন্দ্রগ্রহণ
স্থান: দক্ষিণ/পূর্ব ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক, ভারত মহাসাগর, অ্যান্টার্কটিকা।
২০২৩ সালের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ
* ১৪ অক্টোবর, ২০২৩: সূর্যগ্রহণ
* স্থান: পশ্চিম আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক, আর্কটিক।
২০২৩ সালের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ
* ২৮- ২৯ অক্টোবর, ২০২৩: আংশিক চন্দ্রগ্রহণ
স্থান: ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, উত্তর/পূর্ব দক্ষিণ আমেরিকা, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, আর্কটিক, অ্যান্টার্কটিকা।
চন্দ্রগ্রহণ কী
যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে পৃথিবীর অবস্থান করে এবং যখন চাঁদ পৃথিবীর ছায়া থেকে বের হয় তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। পৃথিবীর জন্য যখন সূর্যের আলো পুরোপুরি ঢাকা পড়ে তখন একে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। তবে যখন চাঁদের একটি অংশ ঢাকা পড়ে তখন একে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলে।
সূর্যগ্রহণ কী
পৃথিবী, চন্দ্র ও সূর্য যখন একই সরলরেখায় অবস্থান করে এবং চন্দ্র, পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে এসে ছায়ার সৃষ্টি করে তখন সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছায় না। এই মহাজাগতিক ঘটনাকেই সূর্যগ্রহণ বলে।
আংশিক সূর্যগ্রহণ
যখন চাঁদের জন্য সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে বাধা পেলেও, একটা অংশের আলোয় শুধুমাত্র বাধা পায়, তখন এই ধরনের সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। অর্থাত্ এক্ষেত্রে সূর্যের একটা অংশ চাঁদের জন্য ঢাকা পড়ে আর বাকি অংশ দেখা যায়। এই আংশিক গ্রহণে সূর্যকে আধ খাওয়া ফলের মতো দেখতে লাগে।
বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ
যখন সূর্যের বহিঃসীমা ছাড়া বাকি অংশ চাঁদের দ্বারা ঢেকে যায়, তখন তাকে বলে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। অর্থাত্ পৃথিবী থেকে কেবল সূর্যের বহিঃসীমা নজরে আসে। দেখে মনে হয়, ঠিক যেন একটা আংটি। একে রিং অব ফায়ারও বলা হয়ে থাকে। এই ধরনের সূর্যগ্রহণ সবথেকে কম দেখা যায়। কারণ এই গ্রহণের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের সঙ্গে চাঁদের দূরত্ব নির্দিষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ
আর যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ সম্পূর্ণভাবে একই সরলরেখায় আসে তখন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। সেক্ষেত্রে সূর্যের আলো চাঁদের দ্বারা পুরোপুরি বাধা পায়। ফলে কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের আলো দেখতেই পাওয়া যায় না। তখন দিনের বেলায় নেমে আসে অন্ধকার।
পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ
পৃথিবীর জন্য যখন সূর্যের আলো পুরোপুরি ঢাকা পড়ে তখন একে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়।
আংশিক চন্দ্রগ্রহণ
পৃথিবীর জন্য যখন চাঁদের একটি অংশ ঢাকা পড়ে তখন একে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলে।