নিজের থেকে বড় এবং সম্মানিত মানুষের পা স্পর্শ করা অর্থাৎ তাঁদের প্রণাম (Pranam) করা হিন্দুধর্মের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য। এ ছাড়া কিছু বিশেষ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বয়স্ক ব্যক্তিরাও তাঁদের থেকে ছোট কোনও ব্যক্তির পা স্পর্শ করেন। সেই সঙ্গে ছোট ছোট মেয়েদের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেওয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
কিন্তু এমন কিছু পরিস্থিতির কথা ধর্মীয় শাস্ত্রে বলা হয়েছে যেখানে বড়রা সামনে এলেও তাঁদের পা স্পর্শ করা উচিত নয় (Feet Touching Rules)। এমতাবস্থায় পা স্পর্শ না করে দূর থেকে হাত গুটিয়ে প্রণাম করাই যথেষ্ট। আসুন জেনে নিই কোন পরিস্থিতিতে বড় এবং সম্মানিত মানুষের পা স্পর্শ করা উচিত নয়।
এই পরিস্থিতিতে বড়দের পা স্পর্শ করবেন না
শ্মশান থেকে ফিরে আসা ব্যক্তি: যদি কোনও সম্মানিত ব্যক্তি বা বয়স্ক ব্যক্তি শ্মশান থেকে ফিরে আসেন, তাহলে তাঁদের পা স্পর্শ করা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ শ্মশান থেকে ফিরে এসে মানুষ অপবিত্র থাকে। স্নান করার পরই তাঁকে স্পর্শ করা উচিত।
মন্দিরে: একজন ব্যক্তি মন্দিরে গিয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন এবং তাঁর আশীর্বাদ পান। ঈশ্বরের চেয়ে বড় এবং সম্মানিত কেউ নেই। তাই মন্দির বা ধর্মীয় স্থানের ভেতরে কোনও বয়স্ক বা সম্মানিত ব্যক্তিকে পাওয়া গেলেও তাঁর পা স্পর্শ করা উচিত নয়।
ঘুমন্ত ব্যক্তি: যদি কোনও ব্যক্তি ঘুমিয়ে থাকেন বা শুয়ে থাকেন, সে সময় তাঁর পা স্পর্শ করবেন না। শুয়ে থাকা বা ঘুমন্ত ব্যক্তির পা স্পর্শ করা খুবই অশুভ, এমনটা করলে মানুষের বয়স কমে যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। শুধুমাত্র মৃত ব্যক্তির পা স্পর্শ করা হয়।
অপবিত্র অবস্থায়: কোনও ব্যক্তি যদি অপবিত্র অবস্থায় থাকেন, তবে তাঁর পা স্পর্শ করা উচিত নয়। এতে উভয়েরই ক্ষতি হয়।
উপাসনা করা ব্যক্তি: যদি কোনও ব্যক্তি উপাসনা করেন, সেই সময় উপাসনা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। মাঝখানে পা ছোঁবেন না, এমনটা করলে তাঁর পুজোয় বাধা পড়ে। যা একেবারেই ঠিক নয়।