Ganesh Chaturthi 2024 Date: আজ গণেশ চতুর্থী। হিন্দুদের উৎসবের ক্যালেন্ডার শুরুই হয় এই গণেশ মহোৎসব দিয়ে। সারা দেশে, বিশেষত মহারাষ্ট্রে গণেশ উৎসব বিপুল উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়। হিন্দু ধর্মে গণেশ চতুর্থীকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। এটি এবার ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর অনন্ত চতুর্দশী পর্যন্ত চলবে।
গণেশ চতুর্থীর তিথি ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩:০১ মিনিটে শুরু হয়ে ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫:৩৭ মিনিটে শেষ হবে। গণেশের মূর্তি স্থাপনের জন্য শুভ সময় নির্ধারিত হয়েছে আজ সকাল ১১:০৩ থেকে দুপুর ১:৩৪ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে গণেশের মূর্তি স্থাপন করলে অত্যন্ত শুভফল প্রাপ্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এবারের গণেশ চতুর্থীতে একাধিক শুভ যোগের সৃষ্টি হয়েছে। সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ, রবি যোগ, ব্রহ্ম যোগ এবং ইন্দ্র যোগ তৈরি হওয়ার ফলে এই বছর গণেশ পূজা ভক্তদের জন্য বিশেষ আর্শীবাদ বয়ে আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গণেশ পুজোর জন্য প্রথমে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরে পুজোর স্থান পরিষ্কার করতে হবে। তারপর একটি পিঁড়িতে লাল বা হলুদ কাপড় বিছিয়ে গণপতি বাপ্পাকে স্থাপন করা উচিত। মন্ত্র জপ করে গণেশ স্থাপনের পর, গণপতিকে পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করিয়ে তিলক ও অক্ষত দিয়ে পুজো করতে হবে। পুজোর সময় দূর্বা নিবেদন করা আবশ্যিক, কারণ এটি ছাড়া গণেশ পুজো অসম্পূর্ণ।
আসনে গণপতি স্থাপনের সময় এই মন্ত্রটি বলুন,
'অসস্য প্রাণ প্রতিশথান্তু অসস্য প্রাণঃ ক্ষরন্তু চ।
শ্রী গণপতে ত্বাম সুপ্রতিষ্ঠা বরদে ভবেতম্।'
গণেশ চতুর্থীর পূজায় কিছু বিশেষ সামগ্রী প্রয়োজন হয়, যেমন গঙ্গাজল, ধূপ, প্রদীপ, লাল কাপড়, দূর্বা, মোদক, সুপারি, লাড্ডু, পঞ্চামৃত ইত্যাদি। গণেশের পুজোয় এই সমস্ত সামগ্রী ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
লোকমতে, গণেশ চতুর্থীর সময় ভগবান গণেশ পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন এবং তাঁর ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন। ভক্তরা বাড়িতে গণেশের মূর্তি এনে পুজো করলে জীবনে সাফল্য ও সমৃদ্ধি লাভ করেন। ১০ দিন ধরে চলা এই উৎসবে ভক্তরা গণেশের আরাধনা করে তাঁদের জীবনের সমস্ত বাধা দূর করার প্রার্থনা করে থাকেন।
গণেশ চতুর্থীতে ভগবান গণেশকে দূর্বা ও ফুলের মালা নিবেদন করলে আর্থিক উন্নতি হয়। এছাড়া 'বক্রতুন্ডায় হুম' মন্ত্র ৫৪ বার জপ করলে জীবনের বাধা ও সংকট দূর হয়। চারমুখী প্রদীপ জ্বালিয়ে গণেশের কাছে প্রার্থনা করলেও সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলে মনে করা হয়।
গণেশ মহোৎসব শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসই নয়, বরং সামাজিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে ভারতের ঐতিহ্য ও একতার প্রতীক।