হিন্দুধর্মে দেব-দেবীর পুজো-অর্চনায় ফুল অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। ফুল ছাড়া কোনও পুজোই সম্পূর্ণ হয় না। ফুলের সুগন্ধ একদিকে যেমন পরিবেশকে সুন্দর করে তেমনি দেব-দেবীরাও তুষ্ট হন। যদিও প্রত্যেক দেব-দেবীর প্রিয় ফুল রয়েছে। সেই ফুল দিয়েই যদি তাঁদের আরাধনা করা যায়, তবে যদি ভগবানের প্রিয় ফুল দিয়ে পুজো করা যায়, তবে সেই ভগবান ভক্তের ওপর আরও বেশি করে তুষ্ট হবেন। ১৯ সেপ্টেম্বর গোটা দেশজুড়ে পালিত হবে গণেশ চতুর্থী। গণেশ পুজোর আগে তাই জেনে নিন, বিঘ্নহর্তাকে কোন কোন ফুল দিয়ে পুজো করলে, তাঁর কৃপা পাওয়া যাবে সর্বদা।
গণেশজির প্রিয় ফুল
শাস্ত্রমতে, গণেশজি হলেন জ্ঞান ও সিদ্ধিলাভের দেবতা। তাই তিনি কোন ফুলে তুষ্ট থাকবেন তা জানা খুব জরুরি। তাই পুজোর আগেই জেনে নিন তাঁর প্রিয় ফুল কোনগুলি।
লাল জবা ফুল
জবাকুসুম, অর্থাত্ লাল জবা ফুল গণপতির অত্যন্ত প্রিয়। এই ফুল তাঁর পুজোয় নিবেদন করলে তিনি সমৃদ্ধি দান করেন ও শত্রুনাশ করেন।
কুন্দ ফুল
কুন্দ ফুল পাওয়া যায় সারা বছরই। গণেশ চতুর্থীতে এই ফুল নিবেদন করলে তাঁর আশীর্বাদে সংসারে সুখ ও শান্তি বিরাজ করে।
নীল অপরাজিতা ফুল
অপরাজিতা ফুল শুধু শনিদেবেরই প্রিয় নয়, এই ফুল গণেশজিরও খুব প্রিয়। এই ফুল দিয়ে তাঁর পুজো করলে বিয়ের বারবার বাধা পড়লে তা কেটে যায়।
গাঁদা ফুল
হলুদ গাঁদা ফুল প্রায় সব ঠাকুরের পুজোতেই ব্যবহৃত হয়। গণেশজিরও এই ফুল খুবই প্রিয়। সুস্বাস্থ্য লাভের জন্য গাঁদা ফুল দিয়ে পুজো করুন সিদ্ধিদাতার। এর ফলে সমস্ত অসুখ বিসুখ সেরে যাবে বলে প্রচলিত বিশ্বাস।
সেবন্তী ফুল
হলুদ রঙের এই ছোট্ট ফুল খুবই পছন্দ করেন বিঘ্নহর্তা। আপনার ওপর কারোর কুনজর পড়লে সেই খারাপ প্রভাব কাটিয়ে উঠতে এই ফুল দিয়ে তাঁর পুজো করুন।
পারিজাত ফুল
রাতের বেলা এই ফুল ফোটে। দিনের বেলায় এর পাপড়ি ঝরে যায়। অত্যন্ত কোমল ও সুগন্ধী এই ফুল খুবই ভালোবাসেন গণেশ। পারিজাত ফুল দিয়ে তাঁর পুজো করলে সিদ্ধিদাতার আশীর্বাদে আপনার সন্তান জীবনে উন্নতি করবে।
দুর্বা ঘাস
এটা যদিও কোনও ফুল নয়, কিন্তু দুর্বা ঘাস নিবেদন করতেই হয় গণেশ পুজোয়। দুর্বা ঘাস ছাড়া গণেশ চতুর্থীর পুজো অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই ঘাস তাঁর পুজোয় দিলে গণপতির আশীর্বাদ লাভ করা যায়।