সনাতন ধর্মে, আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে গুরু পুজোর প্রথা প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে, কারণ এই দিনে মহর্ষি বেদ ব্যাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই এই দিনটিকে গুরু পূর্ণিমা হিসেবে পালন করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গুরু পূর্ণিমার দিন শুধুমাত্র গুরুদের প্রার্থনা ও আশীর্বাদ গ্রহণ করলেই কুণ্ডলীতে গুরুর অবস্থান মজবুত হয় এবং ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। এবার গুরু পূর্ণিমা পড়ছে ৩ জুলাই। এটা বিশ্বাস করা হয় যে যে ব্যক্তি গুরু দক্ষিণা মন্ত্র গ্রহণ করেননি, সেই ব্যক্তি ভগবান বিষ্ণুকে তাঁর গুরু হিসাবে বিবেচনা করে পুজো করতে পারেন।
অন্যদিকে, গুরু পূর্ণিমার দিনে ব্রহ্ম যোগ ও ইন্দ্র যোগ গঠিত হচ্ছে। এই যোগের সময় গুরুর আরাধনা করলে কাঙ্খিত ফল এবং সুখ-সমৃদ্ধি পাওয়া যায় এবং সাফল্যের পথ খুব সহজ হয়ে যায়।
গুরু আমাদের জীবনে পথপ্রদর্শক, গুরু যদি আমাদের রাশিতে শক্তিশালী এবং উচ্চ অবস্থানে থাকেন তবে আমরা অনেক বড় সাফল্য পাই। গুরু শক্তিশালী স্থানে না থাকলে গুরু পূর্ণিমার দিনে গুরুর আরাধনা করলে রাশিতে গুরু শক্তিশালী হয় এবং আমরা সবসময় সাফল্য পাই।
গুরু পূর্ণিমা ২০২৩ শুভ যোগ (Guru Purnima 2023 Auspicious Yog):
কী করতে হবে?
গুরু পূর্ণিমার দিনে ব্রহ্ম যোগ, ইন্দ্র যোগ গঠিত হচ্ছে। এই শুভ যোগে গুরুর দীক্ষা গ্রহণ করা শুভ হবে। গুরুর চরণ পুজো করলেই পাবেন কাঙ্খিত ফল। জীবনের ঝামেলা দূর হবে। সাফল্যের পথ সহজ হবে। গুরু না থাকলে এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করার পর হলুদ বস্ত্র, হলুদ ফল ও হলুদ ফুল নিবেদন করলে ভগবান বিষ্ণু প্রসন্ন হন। এর কারণে কুণ্ডলীতে বৃহস্পতির স্থান শক্তিশালী ও প্রভাবশালী হয়। উপরে উল্লিখিত এই দুই শুভ সময়ে গুরুর আরাধনা করলে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায় এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।