Holi Upay Love Life: প্রেম হবেই, মনের মতো পার্টনারও, দোলের মোক্ষম টোটকা রইল, শাস্ত্র মতে...

Holi Upay: বাংলায় এবার ৭ মার্চ দোল এবং ৮ মার্চ হোলির উৎসব পালিত হবে। হিন্দু ধর্মে হোলি উৎসবের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এবং সবাই উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে এই উৎসব পালন করে। এই উৎসব ভালোবাসা ও সত্যের প্রতীক। তাই হোলির দিনে প্রেমের জীবনকে শক্তিশালী করতে কিছু উপায়ের কথা বলা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলি করলে প্রেম জীবনে দূরত্বের অবসান হয় এবং জীবনে মাধুর্য আসে।

Advertisement
প্রেম হবেই, মনের মতো পার্টনারও, দোলের মোক্ষম টোটকা রইল, শাস্ত্র মতে... Holi 2023: প্রেমের জীবনকে শক্তিশালী করতে হোলিতে করুন এই উপায়গুলি, জীবনে আসবে মাধুর্য

Holi Upay: হোলি উৎসব রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের প্রতীক। এই উৎসবে একে অপরের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে আলিঙ্গন করা হয় এবং রং দিয়ে হোলি খেলা হয়। তাই হোলির দিনে এমনকি শত্রুকেও রং লাগিয়ে বন্ধু হিসেবে আলিঙ্গন করা হয়। যখন দুজন মানুষ একে অপরকে ভালবাসে এবং সারাজীবন একসাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়, তখন জীবন বিভিন্ন রঙ দেখায় কিন্তু কখনও কখনও পরিস্থিতির কারণে সম্পর্কের মধ্যে ফাটল দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে, হোলি উৎসব প্রেমের জীবনকে শক্তিশালী করতে খুব ভাল দিন। জ্যোতিষশাস্ত্রে, প্রেম জীবনে আসা দূরত্ব দূর করতে হোলির দিনে করণীয় কিছু উপায়ের কথা বলা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলি করলে শুধু প্রেম জীবনই মজবুত হবে না, জীবনে সুখ, শান্তি ও অর্থনৈতিক অবস্থাও শক্তিশালী হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক হোলির দিনে এই ব্যবস্থাগুলি সম্পর্কে...

এই উপায়ে  রাধা-কৃষ্ণের আশীর্বাদ পাওয়া যায় 
হোলির দিনে রাধা-কৃষ্ণের মন্দিরে গিয়ে তাদের যথাযথ পুজো  করুন এবং তাদের পায়ে কিছু আবির  নিবেদন করুন। এর পরে 'ওঁম রাধা বল্লভাই নমঃ' মন্ত্রের ৩ দফা জপ করুন। পুজো ও জপ করার পর পায়ের আবির অল্প অল্প করে কপালে প্রতিদিন লাগান। এতে করে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও রাধা রানির আশীর্বাদ বজায় থাকবে এবং প্রেমের জীবনও শক্তিশালী হবে।

এই প্রতিকারে পারস্পরিক ভালবাসা বজায় থাকে
হোলির দিন গরুকে সবুজ চারার সঙ্গে গুড় ও রুটি খাওয়ান এবং তার পায়ে আবির ঢেলে সাতবার পরিক্রমা করেন। পরিক্রমা করার সময় আপনার মনের ইচ্ছা বলুন। হিন্দুশান্ত্র অনুসারে  গাভীতে ৩৩ কোটি দেব-দেবী বাস করেন, তাদের আশীর্বাদে আপনার প্রেম জীবন মজবুত হবে এবং অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা দূর হবে।


এই প্রতিকারে প্রেমের জীবন মজবুত থাকে
প্রেমের বিয়েতে কোনো সমস্যা হলে হোলিকা দহনের রাতে চাঁদকে দুধ ও জল নিবেদন করুন। তারপর চাঁদের বীজ মন্ত্র 'ওঁম শ্রাম শ্রাম শ্রাম স: চন্দ্রমসে নমঃ' ১০৮  বার জপ করুন। এতে করে প্রেমের বিয়েতে আসা বাধা দূর হয় এবং পারস্পরিক ভালোবাসাও মজবুত হয়। এরপর হোলিকা দহন বা ন্যাড়া পোড়ার  সময় আগুনে কিছু আবির  জ্বালিয়ে আপনার ইচ্ছার কথা জানান।

Advertisement

এই প্রতিকার দিয়ে প্রেমের বিয়ের যোগ তৈরি হয়
প্রেমের জীবনকে শক্তিশালী করতে, হোলির দিনে ভগবান শিব এবং মা পার্বতীর পুজো করুন। শিবলিঙ্গে মধু দিয়ে অভিষেক করুন এবং মা পার্বতীকে মধু নিবেদন করুন। এরপর উভয়ের গায়ে লাল ও সবুজ আবির লাগান, তারপর পাঁচটি দেশি ঘির প্রদীপ জ্বালিয়ে শিব চালিসা পাঠ করুন। এতে করে প্রেমে আসা সব বাধা দূর হয় এবং প্রেমের বিয়ের সম্ভাবনাও তৈরি হবে।

এই প্রতিকারের মাধ্যমে দূরত্ব শেষ হয়
হোলিকা দহন হয় পূর্ণিমার দিনে, এই দিনে প্রেমিক-প্রেমিকাদের একে অপরের সঙ্গে দেখা করা উচিত এবং একে অপরকে উপহার দিতে হবে। তবে উপহার দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন জিনিসটা যেন কালো-নীল রঙের এবং ধারালো না হয়। এসব দিলে সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়তে থাকে। তাই হোলিকা দহনের দিনে দেখা হলে একে অপরকে উপহার দিন এবং রঙ লাগান, এতে করে প্রেম জীবনে দূরত্বের অবসান ঘটে।

এই প্রতিকার সম্পর্ককে মজবুত রাখে
হোলিকা দহনের সময় একটি শুকনো নারকেল নিয়ে তাতে চিনি দিয়ে তারপর সুতো দিয়ে বেঁধে দিন। এরপর নারকেলের ওপর সিঁদুর, আবির ও অক্ষত মাখিয়ে লাল কাপড়ে বেঁধে হোলিকার আগুনে জ্বালিয়ে দিন। এতে করে প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ক মজবুত থাকে এবং জীবনে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আসে।


(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)
 

POST A COMMENT
Advertisement