শনির সাড়ে সাতি মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। যার রাশিতে সাড়ি সাতি রয়েছে, সেই বুঝতে পারে সমস্যা কতটা গভীর। কিছুতেই ভাল সময় আসে না। পরিশ্রমের ফল মেলে না। ভাল কাজও খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু তারও কিছু প্রতিকার থাকে। কখনও ঈশ্বরের নাম নিয়ে এমন কিছু টোটকা করতে থাকেন তাতে জীবন আরও সুন্দর হয়ে ওঠে ৷ জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে অনেক টোটকাই আছে যা প্রতিকূলতা এড়িয়ে নতুন করে জীবন গড়ে দিতে পারে৷
আরও পড়ুনঃ সদয় শনি-মঙ্গল, ভাগ্যোদয় এই ৩ রাশির
এমনিতেই জীবনে অনেক অনেক সমস্যা রয়েছে। যা জীবনকে নাজেহাল করে তোলে, বাড়ে টেনশন, বাড়ে চাপও ৷ এই চাপ থেকে মুক্তি পেতেই বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করলে জীবন নতুন খাতে বইতে পারে। চিনি এই সমস্ত ক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ দেয়। জ্যোতিষমতে চিনির টোটকা চাপ থেকে বের করে নিয়ে আসে। তেতো জীবনে চিনি নিয়ে আসতে পারে মিষ্টির পরশ ৷
শনির ও সাড়ে সাতির মহাচাপ থেকে মুক্তি দিতে পারে চিনির এই টোটকা ৷ আসুন জেনে নিই কীভাবে কাজ করে এটি
১. শনির মহারোষ থেকে মুক্তি পেতে নারকেল কুরিয়ে তাতে চিনি মাখিয়ে পিঁপড়েকে খাওয়ান। শনিদেবের রোষানলের হাত থেকে মুক্তি পাবেন অচিরেই।
২. যদি দীর্ঘ সময় ধরে সমস্যা চলতে থাকে তবে তামার ঘটিতে চিনি জল তৈরি করে খেলে বিশেষ ভাবে উপকার পাওয়া যায়
৩. জ্যোতিষশাস্ত্র মতে চিনির সঙ্গে জল মিশিয়ে সূর্য দেবতাকে অর্পণ করলে কোষ্ঠিতে সূর্যের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয় ৷ এতে মান সম্মান বাড়ে, এমনকী বাবার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকলে তা ভাল হয়। সম্পর্ক খারাপ না হলেও আরও ভাল হয়।
আরও পড়ুনঃ মঙ্গলের গোচর জীবনকে দূর্বিষহ করতে পারে এই ৪ রাশির, এখনই সাবধান হন
৪. ব্যবসা-বাণিজ্যে নানা ধরণের সমস্যা আসে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে হলে শুকনো আটার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে কাক ও পিঁপড়েকে খাওয়ালে জীবন আরও সুন্দর হয়ে ওঠে ৷ সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যায় ৷
৫. কেরিয়ারে সাফল্য পেতে গেলেও চিনিকে ব্যবহার করে তা লাভ করা যায়। কোনও ইন্টারভিউ বা চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার আগে তামার পাত্রে জল ও চিনি রাতভর রেখে দিন। ইন্টারভিউ দিতে রওনা হওয়ার আগে ওই জল পান করে বেরোলে জীবনে সাফল্য আসবে