জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যাদের কুণ্ডলীতে কালসর্প দোষ রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। কালসর্প দোষ জন্মছকের এমন একটি অবস্থা, যেখানে সাতটি গ্রহ যেমন বৃহস্পতি, রবি, চন্দ্র, মঙ্গল, বুধ, শুক্র এবং শনি সকলেই রাহু এবং কেতুর ছায়ায় ঢাকা পড়ে। অর্থাৎ এই সাতটি গ্রহ যখন এক পঙক্তিতে চলে আসে আর তারা ঢাকা পড়ে রাহু ও কেতুর ছায়ায়, তখন সৃষ্টি হয় পূর্ণ কালসর্প দোষ।
এইসব ধরনের ব্যক্তিদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি সময় মতো সম্পন্ন হয় না। হতাশার অনুভূতি থাকে এবং বারবার লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। কালসর্প দোষের নাম শুনলেই মানুষের মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু যদি আপনার কুণ্ডলীতে কালসর্প দোষ থাকে তাহলে চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। ছোট ছোট প্রতিকার করলেই আপনি এই দোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
এই দোষ থেকে মুক্তি পেতে মাঘ মাসের অমাবস্যা তিথিতে অর্থাৎ মৌনী অমাবস্যায় কিছু সহজ প্রতিকার করলে, এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ৯ ফেব্রুয়ারি, এবছরের মৌনী অমাবস্যা। জানুন কোন কোন কাজগুলি করলে জীবনের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
কালসর্প দোষ এড়ানোর পদ্ধতি
* মৌনী অমাবস্যার দিনে একটি রুপোর সাপের পুজো করলে, এই দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পুজোর পরে, নদীতে সাদা ফুলের সঙ্গে সাপের এই রূপগুলি ভাসিয়ে দিন। এতে কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
* এই বিশেষ দিনে পবিত্র নদীতে স্নান করে শিবের পুজো করুন। এরপরে শিব তান্ডব স্তোত্র পাঠ করুন। শিবের কৃপায় কালসর্প দোষ দূর করা যায়।
* মৌনী অমাবস্যার দিন সন্ধ্যায় তুলসী গাছের সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে ১০৮ বার পরিক্রমা করুন। এতে শুধু জীবনে পবিত্রতা আসে না, সব ধরনের ঝামেলাও দূর হয়।
* সন্ধ্যায় বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। প্রদীপের সলতে তুলোর পরিবর্তে লাল সুতো ব্যবহার করুন। প্রদীপে জাফরান পাতা রাখুন, এটিও উপকারী হবে।
* এদিন, ১০৮ বার মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করার সময়, ভগবান শিবকে পঞ্চামৃত দিয়ে অভিষেক করুন। এর ফলে জীবনে সুখ এবং সৌভাগ্য বৃদ্ধি পাবে। এর পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমস্যারও সমাধান হবে।
মৌনী অমাবস্যা ২০২৪ কবে?
৯ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার মৌনী অমাবস্যা।
অমাবস্যা তিথি
৯ ফেব্রুয়ারি, ঘ ৭/৩১/৫৫ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৫/২৭/৪২ পর্যন্ত অমাবস্যা তিথি থাকবে।
মৌনী অমাবস্যা
মাঘ মাসের অমাবস্যা তিথিকে মৌনী অমাবস্যা বলা হয়। এই বছর ৯ ফেব্রুয়ারি পড়েছে এই বিশেষ তিথি। এদিন দান ও স্নানের খুবই মাহাত্ম্য হয়েছে। শোনা যায়, ঋষি মনু এই দিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর নাম থেকেই 'মৌনী' নামটা এসেছে। সে জন্যে এই অমাবস্যাকে 'মৌনী অমাবস্যা' বলা হয়।