সনাতন ঐতিহ্য এবং নিটোল বিশ্বাস ও আস্থা শহর বারাণসী (Benaras)। কথায় বলে বারাণসী না গেলে আসলে ভারতবর্ষকে চেনা যায় না। অন্যান্য নানা মন্দিরের সঙ্গে কাশীর কালভৈরব মন্দির খুবই জাগ্রত বলে মানা হয়। দেবাদিদেব মহাদেবের আরেক রূপ ভৈরব বা কালভৈরব (Kaal Bhairav)। এই মন্দিরের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে নানা লোক কথা। সেখানেই প্রায় ৫ দশক পড়ে ঘটলো এক বিরল ঘটনা। এটি কোন সংকেত দিচ্ছে? রইল বিস্তারিত...
প্রচলিত বিশ্বাসের মধ্যে একটি শোনা যায়, যখনই বাবা ভৈরবের বিগ্রহ থেকে তাঁর কলেবর খসে পড়ে, তখনই কোনও বড় বিপদ থেকে রক্ষা পায় পৃথিবীবাসী। তাঁর কারণ হিসাবে মনে করা হয় যে, বাবা সমস্ত বিপদ তাঁর নিজের ওপর দিয়ে যেতে দিয়েছেন।
কালভৈরব মহাদেবের চরম রুদ্র রূপ। এই মন্দির বারাণসীর ভৈরবনাথ এলাকায় অবস্থিত। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটার পড়েই বাবার ডমরুর আওয়াজে গর্জে উঠেছিল কাশীর কোতোয়াল বাবা কালভৈরব মন্দির থেকে পঞ্চগঙ্গা ঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভক্ত ও মন্দিরের পূজারীরা বাবার ভারী কলেবর কাঁধে করে নিয়ে এক বিশাল শোভাযাত্রা করেন। পরে গঙ্গার ঘাটে পৌঁছে নৌকাবিহার সহযোগে নিয়ম মেনে সেই কলেবরকে নিমজ্জিত করা হয় গঙ্গায়।
শোনা যায় প্রায় ১৪ বছর আগে আংশিক ও ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালে বাবার সম্পূর্ণ কলেবর তাঁর বিগ্রহ থেকে আলাদা হয়েছিল। কলেবর বিসর্জনের পরে আবার সিঁদুর ও মোম লাগিয়ে রীতি মেনে আরতি করা হয়। এরপরই পুণ্যার্থীরা বাবার মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: মাঘ পূর্ণিমার এই বিশেষ তিথিতে যে কোনও ইচ্ছে পূর্ণ হয়! জানুন পুণ্যস্নান ও দানের নিয়ম
ভক্তরা আজও বিশ্বাস করেন কালভৈরব নিজের ওপর সমস্ত বিপদ নিয়ে তাঁর সন্তান অর্থাৎ ভক্তদের বিপদ থেকে রক্ষা করেন। তাঁর এই আত্মত্যাগ বসুন্ধরার জন্যে শুভ বলে ব্যাখ্যা করা হয়।