দেশজুড়ে আজ পালন করা হচ্ছে পরমা একাদশী। এই বিশেষ দিনটি ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ উপাসনা করেন ভক্তরা। কথিত রয়েছে, এই বিশেষ দিনটিতে ভগবান বিষ্ণুর উপাসনা করলে সেই ইচ্ছা পূরণ হয়। সেইসঙ্গে ভগবানের বিশেষ কৃপাদৃষ্টিও মেলে। পরমা একাদশীকে আবার মাস একাদশীও বলা হয়। পুরাণে,পরমা একাদশীর ফল অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান বলে বলা হয়েছে।
পরমা একাদশীর গুরুত্ব
এই বিশেষ তিথিতে ভগবান বিষ্ণু আরাধনায় সামিল হন ভক্তরা। কথিত রয়েছে, এই বিশেষ সময়ে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। ভক্তরা খুব ভালো ফল পান। পরমা একাদশীকে উপোস রাখলে ঘরে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। এই সময়ে প্রচুর ভক্ত উপোস রাখেন। অনেকে জলও খান না, কেউ আবার শুধুমাত্র চরণামৃত খেয়ে থাকেন।
কীভাবে ভগবান বিষ্ণুকে সন্তুষ্ট করবেন ?
এই বিশেষ পুজায় টানা পাঁচ দিন ধরে পঞ্চরাত্রি পালন করা হয়। ভক্তরা সম্পূর্ণ ভক্তি সহকারে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করেন। তার পরে ব্রাহ্মণদের ভোজন করানো হয় এবং দক্ষিণা দেওয়া হয়। কথিত রয়েছে, যেসব ভক্তরা এই দিনে উপোস রাখেন এবং পুজো করেন, তাঁর সমস্ত দুর্ভোগ চলে যায়। এই দিন ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে শিবেরও আরাধনা করা হয়।
এদিন সকালে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ভক্তরা বিষ্ণু পুজোয় সামিল হন। বিশেষ এই তিথির উপলক্ষ্যে অনেক ভক্ত গোটা বছর অপেক্ষা করেন। তিথি আসলে ভক্তি ভরে ভগবানের আরাধনায় সামিল হন। বিশেষ এই সময়ে ভগবানের বিশেষ কৃপাদৃষ্টি পড়ে ভক্তদের উপরে। ঘরে সুখ ও শান্তি দুই আসে। তাই যত্নসহকারে আরাধনায় সামিল হন ভক্তরা।