বাড়ির প্রবেশদ্বারকে হিন্দু শাস্ত্রে বলা হয় 'লক্ষ্মীর প্রবেশদ্বার' মনে করা হয়। লোকমতে, এখান দিয়েই সংসারে প্রবেশ করেন মা লক্ষ্মী। তাই এই জায়গা সবসময় পরিচ্ছন্ন ও শুভশক্তিতে ভরপুর থাকা জরুরি। কিন্তু অনেকেই না জেনেই এই দরজার কাছে এমন কিছু জিনিস রেখে দেন, যা সংসারে দারিদ্র্য, অশান্তি ও রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জেনে নিন, বাড়ির মেন গেটের কাছে কী কী জিনিস কখনও রাখবেন না।
১. চটি বা জুতো রাখার র্যাক
প্রবেশদ্বারে জুতো রাখার প্রবণতা অনেক বাড়িতেই দেখা যায়। বিশেষ করে বহিরাগতদের জন্য রাখা হয়। কিন্তু শাস্ত্রমতে, বাড়ির মূল দরজার কাছে জুতো রাখা অশুভ। এতে শুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারে না, বরং নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বাড়ে। লক্ষ্মীদেবী এমন ঘরে প্রবেশ করেন না, যেখানে গন্ধযুক্ত বা নোংরা জুতো রাখা হয়।
২. ঝুলন্ত বা ভাঙা ঘণ্টা, ঘড়ি বা উইন্ড চাইম
দরজার কাছে অনেকে সৌন্দর্য বাড়াতে ঘড়ি, ঘণ্টা বা উইন্ড চাইম ঝোলান। কিন্তু যদি তা ভাঙা হয়, বা ঘণ্টা না বাজে—তাহলে তা অশুভ হয়ে দাঁড়ায়। ফেংশুই মতে, ভাঙা ঘণ্টা নেতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে। একইভাবে বন্ধ ঘড়ি আর্থিক অগ্রগতিকে থামিয়ে দেয়। তাই দরজার কাছে এগুলি সতেজ ও সচল থাকা জরুরি।
৩. ঝাঁটা বা পরিস্কার করার জিনিস
অনেকেই দরজার পাশে ঝাঁটা বা মপ রাখেন সহজ ব্যবহারের জন্য। অথচ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, এই জিনিসগুলি দরজার কাছে রাখলে ধনলক্ষ্মীর অপ্রসন্নতা নেমে আসে। এতে অর্থাগম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ঝাঁটা রাখার স্থান হওয়া উচিত গোপন, দরজার কাছে নয়।
৪. কোনও রকম জঞ্জাল বা পুরনো জিনিস
প্রবেশপথে যদি পুরনো খবরের কাগজ, খালি কার্টন বা অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে রাখা হয়, তাহলে তা ঘরে দারিদ্র্য ডেকে আনতে পারে। এমনকি অনেক সময় এটি প্রতিবেশীদের চোখেও বিরক্তির কারণ হয়। শাস্ত্র অনুসারে, মেন গেট সর্বদা ঝকঝকে, পরিষ্কার ও খালি রাখা উচিত।
৫. অন্ধকার বা কম আলো
রাতে বাড়ির মূল দরজার আলো যদি কম হয়, অথবা সে অংশ যদি অন্ধকারে ঢাকা থাকে, তাহলে তা নেতিবাচক শক্তির আবাসস্থল হয়ে যায়। আলোকময় প্রবেশপথ মানেই শুভ শক্তির প্রবাহ। লক্ষ্মীদেবীও এমন ঘরে প্রবেশ করেন যেখানে আলো ও পবিত্রতার সঙ্গম হয়।
বাড়ির প্রবেশপথ শুধু বাড়িতে ঢোকার জায়গা নয়, এটি পরিবারের আর্থিক ও মানসিক শান্তিরও প্রবেশদ্বার। তাই ‘লক্ষ্মী দরজা’-কে সবসময় যত্নে রাখুন। ভুলেও দরজার কাছে এই জিনিসগুলি রাখবেন না। নিয়ম মেনে চললে জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকবে।
দ্রষ্টব্য: রাশি, জ্যোতিষ, ধর্ম সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলি লোকমতভিত্তিক। প্রকাশক-সম্পাদক এগুলির সত্যতা নিশ্চিত করে না।