হিন্দু ধর্মে মহাশিবরাত্রির গুরুত্ব অসীম। এই উৎসব সনাতনী ধর্মে এক বড় পর্ব। এই উৎসব চতুর্দশী তিথির দিন পালন করা হয়ে থাকে। বিশ্বাস করা হয় যে, এইদিন শিবের সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়াও এইদিন শিবের বিয়েও হয় বলে মানা হয়ে থাকে। মহাশিবরাত্রির দিন মহাদেবের উপাসনা করলে সেই ব্যক্তির সুখ প্রাপ্ত হয়। এই বছর মহাশিবরাত্রি ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার পালন করা হবে। এইদিন ব্রত, উপবাস, মন্ত্রের জপ ও রাত জাগতে হয়।
ভদ্রর ছায়া
হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে এই মহাশিবরাত্রিতে ভদ্রার ছায়া থাকবে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এইদিন ভদ্রার ছায়া থাকবে। ভদ্রার ছায়া সকাল ১১টা ০৮ মিনিটে শুরু হবে যা শেষ হবে রাত ১০টা ০৫ মিনিটে। তবে এর মধ্যে আপনি মহাদেবের পুজো করতে পারবেন। মহাশিবরাত্রিতে ভদ্রার ছায়া প্রায় ১১ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকবে। কারণ ভদ্রার ছায়া থাকলেও তাতে মাঙ্গলিক কাজে কোনও বাধা আসে না। তাই ঈশ্বরের পুজো করাই যায়।
চতুর্দশী তিথি শুরু
মহাশিবরাত্রির চতুর্দশী তিথি এই বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা ০৮ মিনিটে শুরু হবে এবং সেই তিথি সমাপ্ত হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা ৫৪ মিনিটে। মহাশিবরাত্রির পুজো রাতে করা হয়ে থাকে।
চার প্রহরের সময়
মহাশিবরাত্রির দিন রাতের সময় ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ০৯ মিনিট থেকে ১২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। প্রথম প্রহরের পুজো ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যে ৬টা ১৯ মিনিট থেকে রাত ৯টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। দ্বিতীয় প্রহর শুরু হবে রাত ৯টা ২৬ মিনিট থেকে মধ্যরাত ১২টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত, তৃতীয় প্রহর ১২টা ৩৪ মিনিট থেকে ভোররাত ৩টে ৪১ মিনিট পর্যন্ত এবং চতুর্থ প্রহর ভোররাত ৩টে ৪১ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত।
রুদ্রাভিষেকের মুহূর্ত
২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা ৪৭ মিনিট থেকে সকাল ৯টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত শিবের মাথায় জল দিতে পারবেন। এরপর সকাল ১১টা ৬টা মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত জল অর্পণ করতে পারবেন। আবার দুপুর ৩টে ২৫ মিনিট থেকে সন্ধ্যে ৬টা ০৮ মিনিটপর্যন্ত জলাভিষেক করা যাবে। আর শেষে রাত ৮টা ৫৪ মিনিট থেকে মধ্যরাত ১২টা ০১ মিনিট পর্যন্ত জল নিবেদন করতে পারবেন।