scorecardresearch
 

Rakhi Purnima 2022 : এবছর রাখি কবে? জানুন শুভ মুহূর্ত ও বিশেষ যোগ

Raksha Bandhan 2022 : রাখি বন্ধনের দিন বোনেরা ভাইদের হাতে রক্ষা সূত্র, রাখি বা মৌলি বেঁধে তাদের দীর্ঘায়ু এবং সুখ সমৃদ্ধি কামনা করেন। অন্যদিকে, ভাইরাও তাদের বোনদের উপহার দেয় এবং তাদের আজীবন রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয় রাখি বন্ধন উৎসব। এইবছর বছর রাখি বন্ধন আগামী ১১ অগাস্ট বৃহস্পতিবার। শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমাকে কাজরী পূর্ণিমাও বলা হয়।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • অগাস্ট মাসে রাখি বন্ধন
  • জেনে নিন দিনক্ষণ
  • রইল কিছু কাহিনিও

রাখি বন্ধন (Rakhi Bandhan 2022) উৎসবটি ভাই এবং বোনের মধ্যে অটুট ভালবাসা ও পবিত্র সম্পর্কের পরিচয় দেয়। রাখি বন্ধনের দিন বোনেরা ভাইদের হাতে রক্ষা সূত্র, রাখি বা মৌলি বেঁধে তাদের দীর্ঘায়ু এবং সুখ সমৃদ্ধি কামনা করেন। অন্যদিকে, ভাইরাও তাদের বোনদের উপহার দেয় এবং তাদের আজীবন রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা (Rakhi Purnima 2022) তিথিতে উদযাপিত হয় রাখি বন্ধন উৎসব। এইবছর বছর রাখি বন্ধন আগামী ১১ অগাস্ট বৃহস্পতিবার। শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমাকে কাজরী পূর্ণিমাও বলা হয়।

শুভ মুহূর্ত
রাখি বন্ধনের শুভ সময় সম্পর্কে, জ্যোতিষী ডক্টর বিনোদ জানাচ্ছেন, হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথি ১১ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে শুরু হয়ে, পরের দিন ১২ অগাস্ট শুক্রবার সকাল ৭.০৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে। ১১ অগাস্ট, সকাল ৮.৫১ মিনিট থেকে রাত্রি ৯,১৯ মিনিট পর্যন্ত রাখি পরানো যাবে।

শুভ যোগ
রাখি বন্ধনের দিন চাঁদ মকর রাশিতে থাকবে শোভন যোগ তৈরি হবে। ভদ্রা কাল ছাড়া রাখি পরানোর জন্য ১২ ঘণ্টা সময় পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত এই তিথিতে ভদ্রা কাল এবং রাহু কালের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ভদ্রা কাল ও রাহু কালে রাখি পরানো হয় না। কারণ এই সময়ে শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে এই সময়ে কোনও শুভ কাজ করলে তাতে সাফল্য আসে না।

রাখি বন্ধনের কিছু কাহিনি
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, একবার ভগবান শ্রী হরি বামন অবতার গ্রহন করেন এবং রাজা বালির সমগ্র রাজ্য দাবি করেন। রাজা বালিকে পাতালে থাকতে বলেন। তখন রাজা বালি স্বয়ং শ্রী হরিকে পাতালে আমন্ত্রণ জানান। সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করতে না পেরে তাঁরস সঙ্গে চলে যান শ্রী হরি। এদিকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও প্রভু ফিরে না আসায় মা লক্ষ্মী চিন্তিত হয়ে পড়েন। অবশেষে, নারদ মা লক্ষ্মীকে বলেন বালিকে ভাই বানিয়ে তাঁর কাছ থেকে উপহার হিসেবে শ্রী হরিকে চাইতে। সেইমতো মা লক্ষ্মী রাজা বালির সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার জন্য তাঁর হাতে একটি রক্ষাসূত্র বেঁধে দেন।

Advertisement

অপর একটি লোককথা অনুসারে, যম প্রায় ১২ বছর ধরে তাঁর বোন যমুনার কাছে যাননি। তাতে যমুনার মন খুব খারাপ হয়ে যায়। পরে মা গঙ্গার পরামর্শে যম তার বোন যমুনার কাছে যান। যমুনা তার ভাইয়ের আগমনে খুব খুশি হন। তিনি যমকে খুব যত্ন করেন। তাতে যমও খুব খুশি হন। আশীর্বাদস্বরূপ, তিনি যমুনার বারবার যমের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা পূরণ করেন। ফলে যমুনা অমর হয়ে যান।

মহাভারতের একটি উপাখ্যান অনুসারে, রাজসূয় যজ্ঞের সময় শ্রী কৃষ্ণ যখন মগধের রাজা শিশুপালকে হত্যা করেছিলেন, তখন তাঁর হাতও আহত হয়েছিল। কৃষ্ণের আঘাত দেখে দ্রৌপদী সঙ্গে সঙ্গে তার পোশাকের এক টুকরো ছিঁড়ে ভগবানের হাতে বেঁধে দেন। সেই সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে সর্বদা রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই কারণে, যখন দুঃশাসন যখন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের চেষ্টা করছিল সেইসময় তাঁর সম্মান রক্ষা করেন কৃষ্ণ।

মধ্যযুগীয় ভারতীয় ইতিহাসেও রাখি সংক্রান্ত এই ধরনের ঘটনাই পাওয়া যায়। সেই সময় রাণী কর্ণাবতী চিতোরের সিংহাসনে বসেছিলেন। তিনি ছিলেন বিধবা। চিতোরের শক্তি দুর্বল হাতে দেখে গুজরাটের সুলতান বাহাদুর শাহ আক্রমণ করেন। এমতাবস্থায় রানী তার রাজ্য রক্ষা করতে অক্ষম হন। এরপর তিনি চিতোর রক্ষার জন্য মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের কাছে একটি রাখি পাঠান। হুমায়ুন রাণী কর্ণাবতীকে রক্ষা করার জন্য তার সেনাবাহিনীর একটি দল চিতোরে পাঠান। শেষ পর্যন্ত বাহাদুর শাহের বাহিনীকে পিছু হটতে হয়।

আরও পড়ুনকিডনি পাথর ভেবে যন্ত্রণা, শেষ পর্যন্ত সন্তান প্রসব করলেন মহিলা


 

Advertisement