হিন্দু ধর্মে, রুদ্রাক্ষ ভগবান শিবের উপাসনার সঙ্গে জড়িত। রুদ্র মানে শিব আর অক্ষ মানে চোখের জল। কিংবদন্তি অনুসারে, একবার ভগবান শিব ধ্যানমগ্ন অবস্থায় ছিলেব এবং বহু শতাব্দী ধরে তিনি চোখ খোলেননি। তারপরে তাঁর চোখ থেকে পরমানন্দের অশ্রু পৃথিবীতে পড়ে রুদ্রাক্ষে পরিণত হয়।
রুদ্রাক্ষ (Rudraksha Mala) পরলে মনে শান্তি আসে এবং ইতিবাচক শক্তি উৎপন্ন হয়। অনেকে রুদ্রাক্ষের জপমালা পরেন, আবার কেউ রুদ্রাক্ষের ব্রেসলেট পরেন (Rudraksha Bracelet Benefits)। কিন্তু জানেন কি রুদ্রাক্ষ ব্রেসলেট পরলে কী কী উপকার পাওয়া যায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১. রুদ্রাক্ষের ব্রেসলেট পরলে ধন-সম্পদ আসে এবং দারিদ্র্য দূর হয়।
২. রুদ্রাক্ষের ব্রেসলেট পরলে সম্মান বাড়ে।
৩. রুদ্রাক্ষ শনির প্রকোপ থেকে আমাদের রক্ষা করে।
৪. রুদ্রাক্ষের তৈরি ব্রেসলেট শরীরের মেটাবলিজম ঠিক রাখে।
৫. রুদ্রাক্ষের ব্রেসলেট পরলে কেরিয়ারে উন্নতি আসে।
৬. রুদ্রাক্ষ পরিধান করলে রাশিফলের দোষও দূর হয়।
৭. রুদ্রাক্ষ পরলে মন শান্ত থাকে এবং মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
রুদ্রাক্ষ যে কোনও সময়, যেমন তেমনভাবে পরলে হবে না। কারণ রুদ্রাক্ষ ধারণের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। পরার পরেও মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়। চলুন সেগুলি জেনে নেওয়া যাক।
১. রুদ্রাক্ষ শুধুমাত্র লাল সুতো বা হলুদ সুতোয় পরতে হবে।
২. পূর্ণিমার দিন, অমাবস্যার দিন বা যে কোনও সোমবার রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উত্তম বলে মনে করা হয়।
৩. রুদ্রাক্ষ পরে মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৪. রুদ্রাক্ষ পরার আগে অবশ্যই স্নান করতে হবে।
৫. রুদ্রাক্ষ পরিধান করার সময় ওম নমঃ শিবায় জপ করতে হবে।
৬. রুদ্রাক্ষ শ্মশান ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়া উচিত নয়।
৭. রুদ্রাক্ষ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। পুঁতির গর্তে ময়লা জমে থাকলে তা পরিষ্কার করতে হবে।
৮. সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর কাছে কখনওই রুদ্রাক্ষ নিয়ে যাওযা উচিত নয়।
৯. ঘুমানোর আগে পবিত্র স্থানে রাখতে হবে রুদ্রাক্ষ।
আরও পড়ুন - মাধ্যমিক পাশেই রেলে চাকরি, জেনে নিন সমস্ত তথ্য