scorecardresearch
 

সতীর বাম বাহু পড়েছিল এখানে, জানুন মা বহুলার ইতিহাস

পূর্ব বর্ধামানের কেতুগ্রাম। এখানেই অবস্থিত ৫১ সতীপীঠের (Sati Pith) অন্যতম বহুলা মন্দির (Bahula Temple)। পুরাণ মতে সতীর বাম বাহু পড়েছিল এখানে। অন্য সময় সারাবছরই বলতে গেলে উৎসব মুখর হয়ে থাকে এই মন্দির। লেগেই থাকে ভক্ত সমাগম। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অন্য। করোনা কালে মন্দিরের ভক্তস্রোতে ভাটা পড়েছে। আর যাঁরা আসছেন তাঁদের ক্ষেত্রেও মেনে চলা হচ্ছে সরকারি বিধি। এমনকি আসন্ন দীপাবলিতেও  জারি থাকবে সেই সমস্ত সতর্কতা, জানালেন মন্দিরের পুরোহিত নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। 

Advertisement
মাতৃ প্রতিমা মাতৃ প্রতিমা
হাইলাইটস
  • সতীর বাম বাহু পড়েছিল, সেই অনুসারে নাম বহুলা
  • বর্তমান মন্দিরের বয়স ৬১
  • দোল উৎসবে হয়ে ওঠে শাক্ত বৈষ্ণবের মিলন ক্ষেত্র

পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম। এখানেই অবস্থিত ৫১ সতীপীঠের (Sati Pith) অন্যতম বহুলা মন্দির (Bahula Temple)। পুরাণ মতে সতীর বাম বাহু পড়েছিল এখানে। অন্য সময় সারাবছরই বলতে গেলে উৎসব মুখর হয়ে থাকে এই মন্দির। লেগেই থাকে ভক্ত সমাগম। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অন্য। করোনা কালে মন্দিরের ভক্তস্রোতে ভাটা পড়েছে। আর যাঁরা আসছেন তাঁদের ক্ষেত্রেও মেনে চলা হচ্ছে সরকারি বিধি। এমনকি আসন্ন দীপাবলিতেও  জারি থাকবে সেই সমস্ত সতর্কতা, জানালেন মন্দিরের পুরোহিত নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। 

বহু প্রাচীন এই মন্দির। নগেন্দ্রনাথবাবু জানাচ্ছেন, "মায়ের পুরনো মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছে নতুন মন্দির। নতুন মন্দিরের বয়সও দেখতে দেখতে হয়ে গেল ৬১ বছর। মা এখানে চতুর্ভুজা, পদ্মের ওপর বিরাজমান। মায়ের এক পাশে পতি ও অন্যপাশে পুত্র গণেশ। এখানে গণেশ আবার অষ্টভুজ। দক্ষিণ ভারতে এই ধরনের আরও ৩টি গণেশ মূর্তি রয়েছে।" নগেন্দ্রনাথবাবু আরও জানাচ্ছেন, "বিশেষ বিশেষ তিথি তো বটেই, প্রায় সারাবছরই ভক্তদের ভিড় কম বেশি লেগে থাকে মন্দিরে। পয়লা বৈশাখের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় উৎসব। চলে পুজোপাঠ, যজ্ঞ। তারপর একে একে দুর্গাপুজো, নবান্ন উৎসব, আরও কতো কী। বহুলা মন্দিরের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। এছাড়া দোল উৎসবকে কেন্দ্রে করে শাক্ত ও বৈষ্ণবের মিলন ক্ষেত্র হয়ে ওঠে এই বহুলা মন্দির। চলে পুজো পাঠ ও নাম সংকীর্তন।" 

মায়ের মন্দির
মায়ের মন্দির

তবে করোনা কালে মন্দিরের ভিড়ের ছবিটা একেবারেই বদলে গেছে বলে জানাচ্ছেন নগেন্দ্রনাথবাবু। আবার সংক্রমণ ঠেকাতে মন্দিরের তরফেও নেওয়া হয়েছে বেশকিছু সতর্কতা। মন্দিরের পুরোহিত জানাচ্ছে, "দীর্ঘ লকডাউনের সময় মায়ের নিত্য সেবা হলেও বন্ধ থাকত মন্দিরের গেট। এমনকি এখনও সমস্ত সরকারি নিয়ম নীতি পালন করা হচ্ছে। মেনে চলা হচ্ছে দূরত্ব বিধি। রয়েছে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা।"পাশাপাশি কোনওরকম ভোগের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে না বলে জানান তিনি। অন্যদিকে নগেন্দ্রনাথবাবু  জানাচ্ছেন আগামিদিনে ভক্তদের সুবিধার্থে যাত্রীনিবাস তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষের। 

Advertisement

 

Advertisement