Shani Sade Sati Upay: ৫ রাশিতে শনির বক্রদৃষ্টি, বাধা-বিপদ কাটানোর প্রতিকারগুলি রইল

Shani Sade Sati Upay: সম্প্রতি, শনিদেব রাশি পরিবর্তন করেছেন, যার পরে কিছু রাশির উপর শনির সাড়ে সাতি প্রকোপ পড়েছে। জেনে নিন কিভাবে এই সাড়ে সাতির দশা এড়ানো যায়।

Advertisement
৫ রাশিতে শনির বক্রদৃষ্টি, বাধা-বিপদ কাটানোর প্রতিকারগুলি রইলShani Dev: এইভাবে এড়িয়ে চলুন শনির সাড়ে সাতি

Shani Sadhe Sati Upay: দিন কয়েক আগেই শনিদেব মকর রাশি ছেড়ে কুম্ভ রাশিতে গোচর করেছেন। মকর এবং কুম্ভ উভয় রাশিকেই শনির রাশি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে এই দুই রাশিতেই শনির সাড়ে সাতি চলছে। এর পাশাপাশি মীন, কর্কট ও বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকাদেরও শনির সাড়ে সাতি চলছে। এমন পরিস্থিতিতে এই রাশির জাতকদের শনিদেবের নজর থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে শনিদেব ৭ বছরের জন্য যেকোনো রাশিতে সাড়ে সাতি নিয়ে আসেন এবং এই সাড়ে সাতিকে ৩টি পর্যায়ে বিভক্ত করা হয়।

শনির সাড়ে সাতির প্রথম পর্বটি আর্থিকভাবে বেদনাদায়ক বলা হয়, অন্যদিকে শারীরিক সমস্যা দ্বিতীয় পর্বে আসে। কিন্তু, সাড়ে সাতির তৃতীয় ও শেষ পর্বে শনিদেব কৃপা করেন এবং ব্যক্তির দুঃখ-কষ্ট দূর করার পাশাপাশি তাকে শুভ ফলও দেন। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, সাড়ে সাতি  একজনের জীবনে মাত্র চারবার আসে। 


শনির সাড়ে সাতির প্রতিকার
প্রতি শনিবার শনিদেবের মন্দিরে যাওয়া শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনে শনিদেবের পুজো  করা যেতে পারে। এছাড়াও শনিদেবকে তেল দেওয়া এবং কুকুরকে রুটি দেওয়াও শুভ বলে মনে করা হয়। 

বিশ্বাস অনুসারে, শনির সাড়ে সাতির সময় বজরঙ্গবলীকে খুশি করাও সাড়ে সতী এড়ানোর একটি ভাল উপায়। এই সাড়ে সাতির প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি হনুমানজি দুঃখ থেকেও মুক্তি দেন। কারণ পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে শনিদেবকে লঙ্কাপতি রাবণ বন্দি করেছিলেন। বজরঙ্গবলিই শনিদেবকে রক্ষা করেছিলেন। এই কারণে হনুমান ভক্তরা বর পেয়েছিলেন যে শনিদেব তাদের ক্ষতি করবেন না। হনুমান জিকে খুশি করতে হনুমান মন্ত্র 'শ্রী হনুমতে নমঃ' জপ করুন। এ ছাড়া হনুমান চালিসাও পাঠ করা যায়। 

শনির সাড়ে সাতির অন্যান্য প্রতিকার
এক টাকার সমাধান

আর্থিকভাবে বড় উপকার পেতে চাইলে এক টাকার কয়েন নিয়ে সর্ষের তেল দিয়ে বিন্দু তৈরি করে কারও সঙ্গে কথা না বলে শনি মন্দিরে রাখুন। এতে করে থমকে যাওয়া কাজ আবার শুরু হবে এবং অর্থনৈতিক অবস্থাও মজবুত হবে।

Advertisement

কালো তিলের প্রতিকার
শনির সাড়ে  সাতি ও ঢাইয়ার কারণে জীবনে যদি অনেক সমস্যা দেখা দেয় তাহলে কালো তিল ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য শনিবার এক মুঠো কালো তিল নিয়ে প্রবাহিত জলে ভাসিয়ে দিন এবং শনিদেবের যথাযোগ্য পুজো করুন। এতে করে উপকার পাবেন।

সর্ষের তেল
জীবনের সবকিছুতে কোনো না কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে সব কাজ সেরে নিন। এরপর একটি পাত্রে সর্ষের তেল ভরে আপনার মুখ দেখুন। এর পরে এটি কাউকে দান করুন। এতে করে শনিদেব শীঘ্রই খুশি হন।

অশ্বত্থ
শনিবার সকালে অশ্বত্থ গাছে জল অর্পণ করুন। এর সঙ্গে সন্ধ্যায় অশ্বত্থ গাছের কাছে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান।

ঘোড়ার নালের আংটি পরা
ঘোড়ার নালের তৈরি আংটি পরাও শনির সাড়ে সাতি ও ঢাইয়ার প্রকোপ কমাতে উপকারী হবে। এটি আপনার মধ্যম আঙুলে পরা যেতে পারে।

বানরদের এই জিনিস খাওয়ান
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শনিদেব সেই ব্যক্তির উপর সন্তুষ্ট হন যার উপর হনুমানজির আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। এমন অবস্থায় মঙ্গল ও শনিবার বানরকে গুড় ও ছোলা খাওয়ান। এতে সুবিধা হবে।

(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)

POST A COMMENT
Advertisement