Rudraksha Imoprtance: শিব-রুদ্রাক্ষ কাটায় শনির সাড়ে সাতি! কীভাবে ধারণ?

শিবের অশ্রু থেকে রুদ্রাক্ষের উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। এটি প্রাচীনকাল থেকে অলঙ্কার হিসাবে, মন্ত্র জপ করতে এবং গ্রহ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়। রুদ্রাক্ষ এই পৃথিবীতে একমাত্র জিনিস যা মন্ত্র উচ্চারণ এবং গ্রহ নিয়ন্ত্রণের জন্য শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়। জ্যোতিষীদের মতে, রুদ্রাক্ষের বৈশিষ্ট্য ও মহিমার বর্ণনাও শাস্ত্রে অনেক করা হয়েছে। রুদ্রাক্ষ ব্যবহারে আমরাও শনির দোষ দূর করতে পারি এবং শনির আশীর্বাদ পেতে পারি।

Advertisement
 শিব-রুদ্রাক্ষ কাটায় শনির সাড়ে সাতি! কীভাবে ধারণ?শিবের অশ্রু থেকে রুদ্রাক্ষের উৎপত্তি বলে মনে করা হয়
হাইলাইটস
  • ভগবান শিবের আশীর্বাদ পেতে তাকে অনেক কিছু নিবেদন করা হয়
  • কিন্তু জানেন কি তাদের মধ্যে রুদ্রাক্ষের উপরে কিছু নেই
  • অতএব, আপনি যদি জীবনে সবকিছু আপনার মনের মত পেতে চান, তবে এই মহাশিবরাত্রিতে আপনাকে অবশ্যই রুদ্রাক্ষ পরতে হবে

ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী মহাশিবরাত্রি হিসেবে পালিত হয়। তবে, প্রতি মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশী মাসিক শিবরাত্রি হিসাবে পালিত হয়। মহাশিবরাত্রির দিনটি ভগবান শিবকে খুশি করার জন্য খুবই বিশেষ। এই দিনে ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর বিশেষ আরাধনা করলে সাধক বিশেষ ফল লাভ করেন। সারা বছর মহাদেবের আশীর্বাদ পেতে মহাশিবরাত্রির দিন শিবের মহাপ্রসাদ রুদ্রাক্ষ বিধি-ব্যবস্থা সহকারে পরতে হবে। আসুন জেনে নিই রুদ্রাক্ষের ধর্মীয় গুরুত্ব।  

 

 

রুদ্রাক্ষের ধর্মীয় তাৎপর্য
ভগবান শিবের আশীর্বাদ পেতে তাকে অনেক কিছু নিবেদন করা হয়। কিন্তু জানেন কি তাদের মধ্যে রুদ্রাক্ষের উপরে কিছু নেই। অতএব, আপনি যদি জীবনে সবকিছু আপনার মনের মত  পেতে চান, তবে এই মহাশিবরাত্রিতে আপনাকে অবশ্যই রুদ্রাক্ষ  পরতে হবে। কথিত আছে যে রুদ্রাক্ষ পরলে মানুষের সমস্ত রোগ, দুঃখ ও ভয় দূর হয়। শুধু তাই নয়, একজন ব্যক্তি জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য লাভ করেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান শিবের অশ্রু থেকে তৈরি একটি রুদ্রাক্ষও একজন ব্যক্তির দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা রাখে। 

 

 

শিবের অশ্রু থেকে রুদ্রাক্ষের উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। এটি প্রাচীনকাল থেকে অলঙ্কার হিসাবে, মন্ত্র জপ করতে  এবং গ্রহ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়। রুদ্রাক্ষ এই পৃথিবীতে একমাত্র জিনিস যা মন্ত্র উচ্চারণ এবং গ্রহ নিয়ন্ত্রণের জন্য শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়। জ্যোতিষীদের মতে, রুদ্রাক্ষের বৈশিষ্ট্য ও মহিমার  বর্ণনাও শাস্ত্রে অনেক  করা হয়েছে। রুদ্রাক্ষ ব্যবহারে আমরাও শনির দোষ দূর করতে পারি এবং শনির আশীর্বাদ পেতে পারি। তবে এর জন্য রুদ্রাক্ষ পরার নিয়ম মেনে চলতে হবে।

 

 

শনির গুরুত্ব ও প্রভাব 
রুদ্রাক্ষের শক্তি এতটাই বেশি যে এর কিছু বিশেষ নিয়ম ও ধর্ম রয়েছে এবং সেই নিয়ম ও ধর্মগুলি না মানলে খারাপ ফলও আসতে শুরু করে। কিন্তু জ্যোতিষীদের মতে, যদি রুদ্রাক্ষ সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে শনির বাঁকা দৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ঝামেলা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। আসুন জানা যাক  শনির গুরুত্ব কী এবং আমাদের জীবনে এর প্রভাব কী।

Advertisement

 

 

শনি আমাদের জীবনে প্রতিটি ধরণের কর্ম এবং এর ফলাফলের সাথে সম্পর্কিত। শনি দণ্ডের অধিপতি, তাই তিনি আমাদের অপকর্মেরও শাস্তি দেন। শুধুমাত্র শনির কৃপায় কর্মসংস্থান হয় এবং জীবিকা চলে। শনি বেদনাদায়ক হলে জীবনে সংগ্রামের পরিমাণ বাড়ে। কর্মসংস্থান থেকে স্বাস্থ্য সব জায়গাতেই মানুষের অসুবিধা বাড়ে। শনি অনুকূল থাকলে জীবনে কোনো সংগ্রাম হয় না এবং সাফল্য অর্জিত হয়।

 

 

রুদ্রাক্ষ পরার নিয়ম কী?
জ্যোতিষ শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনের দ্বন্দ্ব দূর করতে রুদ্রাক্ষ ব্যবহারের কিছু বিশেষ উপায় রয়েছে। এই সমস্ত ব্যবস্থা যদি কঠোর নিয়মে করা হয়, তাহলে শনির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই রুদ্রাক্ষ পরার নিয়ম সম্পর্কে।

  •  রুদ্রাক্ষ কব্জি, গলা ও জপমালা হিসাবে  পরা যেতে পারে। এটা কন্ঠে ধারণ করা সবচেয়ে ভালো। 
  • কব্জিতে ১২ টি, গলায় ৩৬ টি এবং জপমালায় ১০৮ টি রুদ্রাক্ষের দানা পরতে হবে। 
  • একটি রুদ্রাক্ষও ধারণ করতে পরতে পারেন। কিন্তু এই দানা বুক যাতে স্পর্শ করে সেদিকে নজর দিতে হবে  এবং লাল সুতোয় বাধা থাকবে হবে। 
  • শ্রাবণের  সোমবার এবং শিবরাত্রিতে রুদ্রাক্ষ পরা উত্তম। 
  • রুদ্রাক্ষ পরার আগে এটি ভগবান শিবকে উৎসর্গ করতে হবে এবং জপমালা ও রুদ্রাক্ষের উপর মন্ত্রটি জপ করতে হবে।
  • যাঁরা রুদ্রাক্ষ পরিধান করেন, তাঁদের সাত্ত্বিক থাকতে হবে এবং আচার-আচরণ শুদ্ধ রাখতে হবে, তা না হলে রুদ্রাক্ষের ফল মিলবে না।

শনির বাধা মোকাবিলায় কোন রুদ্রাক্ষ ব্যবহার করা উচিত? 
শনির যন্ত্রণা সামাল দিতে এই নিয়মের সঙ্গে রুদ্রাক্ষ ব্যবহার করলে দ্রুত উপশম পাওয়া যায়। এখন এমন পরিস্থিতিতে শনির বাধা দূর করতে রুদ্রাক্ষ কীভাবে ব্যবহার করা উচিত  চলুন জেনে নিই।

 

 

চাকুরির সমস্যার জন্য- এর জন্য দশমুখী রুদ্রাক্ষ পরতে হবে। শনিবার এটি একটি লাল সুতোয় করে গলায় পরুন। একসঙ্গে তিন, দশমুখী রুদ্রাক্ষ পরলে বিশেষ উপকার হবে।

স্বাস্থ্য বা বয়সজনিত সমস্যার জন্য- এর জন্য শনিবার গলায় আটমুখী রুদ্রাক্ষ পরুন। নয়তো একটি মাত্র আটমুখী রুদ্রাক্ষ পরুন। অথবা চুয়ান্নটি রুদ্রাক্ষ একসঙ্গে পরুন।

কুণ্ডলীতে শনির যেকোনো অশুভ যোগ দূর করতে- একমুখী এবং এগারোমুখী রুদ্রাক্ষ একসঙ্গে পরুন। অথবা এতে একটি একমুখী এবং  দুটি  এগারোমুখী রুদ্রাক্ষ রাখুন। এটি একটি লাল সুতোয় একসঙ্গে পরুন।

জ্যোতিষীরা বলেন, রুদ্রাক্ষের এই প্রতিকারে কুণ্ডলীতে উপস্থিত শনির অশুভ যোগেরও অবসান হয়। রুদ্রাক্ষের এমন শক্তি রয়েছে যা এর ধারককে সমস্ত ধরণের ঝামেলার বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং তাদের জয় করার ক্ষমতা দেয়। আশা করি আপনিও রুদ্রাক্ষ পরিধানে বিশেষ উপকার পাবেন।

POST A COMMENT
Advertisement