বাংলায় প্রতিটি সনাতনীর বাড়িতে রয়েছে শিবলিঙ্গ। শিবরাত্রি ধুমধাম করে উদযাপিত হয়। সেই সঙ্গে শ্রাবণ সোমবারের ব্রত তো রয়েইছে। ভোলাবাবা সহজেই সন্তুষ্ট হন। তাঁকে খুশি করলে মেলে কাঙ্ক্ষিত ফল। এ কারণে ভক্তরা শিব মন্দিরে যান। শিবলিঙ্গে জল এবং দুধ নিবেদন করে সমৃদ্ধি কামনা করেন। শিবের পুজো করলে সন্তান, ধন, জ্ঞান ও মোক্ষ লাভ হয়। শিবলিঙ্গে কিছু বিশেষ জিনিস নিবেদন করা উচিত। যাতে আরও তাড়াতাড়ি ভাগ্য প্রসন্ন হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, শিবকে খুশি করতে হলে কী কী করবেন-
শিবলিঙ্গে সাধারণ দুধ বা জল দিয়ে অভিষেক করা হয়। এছাড়াও অনেকে নানা উপাদান দেয়। তবে সবচেয়ে কার্যকরী দুই উপাদান হল কালো তিল ও গোলমরিচ। ই দুটি জিনিসই শিবলিঙ্গে অর্পণ করা হলে খুশি হন ভোলেবাবা। এটাই লোকবিশ্বাস। আর তিনি সন্তুষ্ট হলে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে জীবন। শিবলিঙ্গে কালো তিল এবং গোলমরিচ অর্পণ করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়।
কীভাবে শিবলিঙ্গে অর্পণ করবেন?
একটি গোলমরিচ এবং ৭টি কালো তিল নিন। শিবলিঙ্গকে জল দিয়ে অভিষেক করুন। তার পর তিল ও গোলমরিচ দিতে পারেন। তাছাড়া জলে বা দুধে মিশিয়েও অর্পণ করতে পারেন তিল-গোলমরিচ। এরপর ভোলেনাথের কাছে মনের কথা বলুন। এই প্রতিকার যে কোনও দিন করা যেতে পারে। তবে সোমবার করলে বেশি লাভজনক।
কারা করবেন এই প্রতিকার?
যাঁদের কোষ্ঠীতে শনি, রাহু ও কেতু অশুভ অবস্থানে রয়েছে তাঁদের জন্য কালো তিল ও গোলমরিচের প্রতিকার খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। শিবলিঙ্গে কালো তিল নিবেদন করলে কালসর্প দোষ,শনির সাড়ে সাতি এবং ঢাইয়ার প্রভাব থেকে মুক্তি মেলে।
রোগমুক্তি
শিবপুরাণ অনুসারে, শিবলিঙ্গে কালো তিল ও গোলমরিচ নিবেদন করলে রোগ নাশ হয়। অসুখ-বিসুখ থেকে মেলে মুক্তি। সেই সঙ্গে মানুষ সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ করে।