সনাতন মতে সপ্তাহের প্রতিটি দিন কোনও না কোনও দেবতা উৎসর্গ করা হয়। ওই দিনে দেবদেবীর পুজো করলে কাঙ্খিত ফল মেলে বলে লোকবিশ্বাস। সোমবারকে শিবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস,এই দিনে শিবের আরাধনা এবং মন্ত্র জপ করলে জীবনের সমস্ত বাধাবিঘ্ন দূর হয়। প্রসন্ন হন ভোলেনাথ। সদয় হন মহাদেব। ভোলেনাথ সহজেই প্রসন্ন হন বলে ধারণা ভক্তদের। রুদ্রাভিষেক করলেই তিনি সন্তুষ্ট। জ্যোতিষশাস্ত্রে মহাদেবের কিছু অলৌকিক মন্ত্রের উল্লেখ করা হয়েছে। এই মন্ত্রগুলি নিয়ম মেনে জপ করলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি আসে। রইল শিবের এমনই ৫টি অলৌকিক মন্ত্র (6 miraculous mantras of Mahadev)-
ওঁ নমঃ শিবায়
এই মন্ত্রকে বলা হয় শিব পঞ্চাক্ষর মন্ত্র। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই মন্ত্রটি প্রতিদিন ১০৮ বার জপ করলে মন শান্ত, নির্মল এবং স্থির থাকে। পঞ্চাক্ষর মন্ত্র জপ করলে শিবের কৃপা পাওয়া যায়।
ওঃ নমো ভগবতে রুদ্রায় নমঃ
শিবের এই মন্ত্রকে রুদ্র মন্ত্রও বলা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে,এই মন্ত্রটি প্রতিদিন জপ করলে ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন শিব।
মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র
ওঁ হৌং জুং সঃ ওঁ ভুর্ভুবঃ স্বঃ ওঁ ত্র্যম্বকম যজামহে সুগন্ধিম পুষ্টিবর্ধনম্ উর্ভারুকমিব বন্ধনান মৃত্যৌর্মুক্ষীয় মামৃতাত ওঁ স্বঃ ভুবঃ ভুঃ ওঁ সঃ জুং হৌং ওঁ।
এটি শিবের মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র। কথিত আছে, মন্ত্রটি জপ করলে ভয়, মৃত্যু এবং অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কাটে কালসর্প যোগ। জীবনে সাফল্য আসে। পথের সমস্ত বাধা দূর হয়।
শিব গায়ত্রী মন্ত্র
ওম তৎপুরুষায় বিদ্মহে মহাদেবায় ধীমহি তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াৎ।।
শিব গায়ত্রী মন্ত্র জপে সুখ ও শান্তি লাভ করা যায়। রুদ্র গায়ত্রী মন্ত্র জপ করলে পরিবারের সদস্যের রোগমুক্তি হয়।
ক্ষমাপ্রাপ্তি মন্ত্র
করচরণকৃতং বাক্কায়জং কর্মজং ভা শ্রবণনয়নজং বা মনসং বাপরধম
বিহিতমবিহিতং বা সর্বমেতত্ ক্ষমস্ব জয় জয় করুণাব্ধে শ্রীমহাদেব শম্ভৌ।
শিবের কাছ থেকে ক্ষমাপ্রার্থনার জন্য এই মন্ত্র জপা করা হয়। এতে শিব প্রসন্ন হন।
শিবের ধ্যান মন্ত্র
ধ্যায়ে নিত্যং মহেশং রজতগিরিনিভং চারুচন্দ্রাং বতংসং।
রত্নাকল্পোজ্জ্বলাঙ্গং পরশুমৃগবরাভীতিহস্তং প্রসন্নম।।
পদ্মাসীনং সমংতাৎ স্তুততমমরগণৈর্ব্যাঘ্রকৃত্তিং বসানং।
বিশ্বাদ্যং বিশ্ববদ্যং নিখিলভয় হরং পঞ্চবক্ত্রং ত্রিনেত্রম্।।
একাগ্রতা বাড়াতে শিবের এই মন্ত্র জপ করুন। এই মন্ত্র জপ করে এক মনে জপ করলে মেলে শিবের কৃপা।
আরও পড়ুন- গজ না নৌকা! দুর্গার বাহন কীভাবে ঠিক হয়? জানুন শাস্ত্রের বিধান