সপ্তাহের প্রতিটি দিন কোনও না কোনও দেবতাকে উৎসর্গ করা হয়। সেইমতো মঙ্গলবার হনুমানজি ও মঙ্গলদেবের দিন। জ্যোতিষশাস্ত্রে মঙ্গল দেবকে অত্যন্ত কঠোর বলে বর্ণনা করা হয়েছে। কুণ্ডলীতে মঙ্গল গ্রহের অবস্থান শুভ হলে জীবনে ইতিবাচকতা বজায় থাকে এবং সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি লাভ হয়। অন্যদিকে মঙ্গল গ্রহের অবস্থান ভাল না হলে পারিবারিক কলহ, দুর্ভোগ, দুর্ঘটনার মতো আশঙ্কা থেকে যায়। জ্যোতিষশাস্ত্রে মঙ্গলকে শক্তিশালী রাখার জন্য কিছু ব্যবস্থা ও কৌশল দেওয়া হয়েছে। এইসব প্রতিকার ও কৌশল অবলম্বন করে জীবনে সুখ শান্তি বজায় থাকে (Mangalwar Ke Upay)। একইসঙ্গে রোগ, সংকট, স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত বিভিন্ন ভয়ও দূর হয়ে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক মঙ্গলবারের এই প্রতিকারগুলি সম্পর্কে (Mangalwar Er Totke)।
১. জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মঙ্গলবার একটি লাল কাপড়ে নারকেল বেঁধে হনুমান মন্দির বা যে কোনও নদীতে বিসর্জন দিন। টানা সাতটি মঙ্গলবার এটি করুন। মঙ্গলবার এই কৌশলটি করলে কুণ্ডলীতে মঙ্গল গ্রহের অবস্থান মজবুত হয়, এবং এই গ্রহের দোষ দূর হয়। সেই সঙ্গে ভয় ও অশান্তি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
২. প্রতি মঙ্গলবার বাড়ির বড় ভাইয়ের আশীর্বাদ নিন এবং তাঁকে মিষ্টি খাওয়ান। বড় ভাই না থাকলে বড় ভাইয়ের মতো কারও কাছ থেকে আশার্বাদ নিন। মঙ্গল গ্রহের প্রভাব বড় ভাইয়ের মধ্যে থাকে এবং তাঁর আশীর্বাদ স্বয়ং মঙ্গল দেবের আশীর্বাদ বলে মনে করা হয়। এতে ভ্রাতৃত্ব বজায় থাকে, একত্রে পরিবারে সুখ-শান্তি থাকে এবং স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।
৩. মঙ্গলবার হনুমান মন্দিরে যান এবং তাঁকে দর্শন করুন। গুড় ছোলা এবং বোঁদে নিবেদন করুন। একই সঙ্গে বানরকেও গুড় ও ছোলা খাওয়ান। একটানা ২১টি মঙ্গলবার এটি করুন। এতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিয়ে আসে এবং জীবনে উন্নতির নতুন পথ প্রশস্ত হয়।
৪. মঙ্গলবার লাল গরুকে রুটি দিন এবং হনুমান মন্দিরে জুঁই তেলের প্রদীপ জ্বালান। লাল বাতি না থাকলে কিছু লাল সিঁদুর লাগান। তারপর এক জায়গায় বসে হনুমান বাহুক ও সুন্দরকাণ্ড পাঠ করুন। একটানা ২১ দিন এটা করতে থাকুন এবং মনে রাখবেন যে একই জায়গায় বসে এটা করতে হবে। এতে ধন-সম্পদ লাভ হয় এবং সমস্ত ভয় দূর হয়।
৫. জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রুটিতে গুড়ি লাগিয়ে মুড়িয়ে মঙ্গলবার লাল গরুকে খাওয়ান। এতে মাঙ্গলিক দোষ দূর হয় এবং কর্মক্ষেত্রে উন্নতি হয়। মঙ্গলবার বানর ও গরুর সেবা করলে কুণ্ডলীতে মঙ্গল গ্রহের অবস্থান শক্তিশালী হয় এবং জীবনের সমস্যা দূর হয়।