ব্যবসা চালাতে গেলে বাড়ির কিংবা দোকানের দরজার বিরাট একটা গুরুত্ব রয়েছে। তাই বাড়ির দরজা সবসময় বাস্তুশাস্ত্র মেনেই নির্মাণ করা উচিত। বলা হয় এর ফলে সবসময় বাড়িতে পজিটিভ এনার্জি বিরাজ করে। গৃহস্থ লাভের মুখ দেখেন এবং সংসারে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। কোনও কলোনি কিংবা আবাসন অথবা ভবনের গেট অনেক বড় বানানো হয়। কারণ এই সমস্ত জায়গায় প্রচুর মানুষের যাতায়াত থাকে। এর পিছনে আরেকটি কারণ আছে। বড় গেটের নেপথ্যে পজিটিভ এনার্জিও সেখানে বিরাজ করে। ফলে সেই আবাসনে বসবাসকারী ব্যবসায়ীদের পক্ষে তা সুখকর হয়ে যায়। অনেক লাভ হয় তাঁদের।
জেনে নিন বাস্তু কী বলছে
বাস্তুমতে, দোকানের মূল দরজার সামনে অব্যবহৃত জিনিসপত্র ফেলে না রাখাই প্রয়োজন। এতে পজিটিভ এনার্জি সেখানে প্রবেশ করতে পারে না। পণ্ডিতদের মতে, একটি ভালো অবস্থানে আপনার দোকান বা কর্মক্ষেত্রের মূল দরজা যদি সিংহের মতো বসে থাকে তবে এটি সাফল্যের সিঁড়ির মতো।
অর্থাৎ সমস্যা এসে ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে না। বাড়ির ক্ষেত্রে মূল দরজার আগে সবসময় ছোট টব রাখা উচিত। এতে কুদৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
বাড়ির দরজা কোন দিকে থাকবে
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, উত্তর মুখে বাড়ির দরজা বানানো সব থেকে শুভ। এতে কোনও কুপ্রভাব আসে না। বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মূল দরজা থাকা অশুভ বলে মনে করা হয়। এতে সংসারে অনেক বিপদ নেমে আসতে পারে। উত্তর-পূর্ব দিকে বাড়ির মূল দরজা থাকলেও কোনও সমস্যা হয় না। প্রত্যেকের বাড়ির দরজা এই দিকে মুখ করা থাকলে ভালো হয়। এমনটাই জানাচ্ছেন পণ্ডিতরা। বাস্তু মতে, দক্ষিণ পূর্ব দিকে বাড়ির দরজা বানানো উচিত নয়। এতে বাড়িতে নানারকম সমস্যা নেমে আসে। বাড়ির মূল দরজার মুখ দক্ষিণ দিক থাকলেও সমস্যা বাড়ে বলে জানাচ্ছে শাস্ত্র। ওই গৃহস্থের সংসারে অশান্তি নেমে আসে। পণ্ডিতরা বলছেন, প্রত্যেক গৃহস্থকে বাড়ি কিংবা দোকান বানানোর আগে এই কথাগুলো মাথায় রাখতে হবে, তাহলে তাঁর উন্নতি কেউ আটকাতে পারবে না।