scorecardresearch
 

Pitri Tarpan: তর্পণ কী, কে শুরু করেছিলেন এই তর্পণ, জানেন?

আপামর বাঙালির কাছে মহালয়া মানে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ, মহিষাসুরমর্দিনী শোনা এবং পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাওয়া। এ ছাড়াও সে দিন অন্য কারণে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ১৫ দিনের পিতৃপক্ষের অবসান হয়। দেবীপক্ষের সূচনার আগে ভোরে অসংখ্য মানুষ পূর্বপুরুষকে তিল-তর্পণ করেন। হাজার হাডার বছর ধরে এই প্রথা চলে আসছে। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, কী ভাবে এই প্রথার প্রচলন হয়েছিল?

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • কখনও ভেবে দেখেছেন, কী ভাবে এই প্রথার প্রচলন হয়েছিল?
  • কে শুরু করেছিলেন এই পিতৃ তর্পণ?
  • জেনে নিন কিছু অজানা কাহিনি।

আপামর বাঙালির কাছে মহালয়া মানে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ, মহিষাসুরমর্দিনী শোনা এবং পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাওয়া। এ ছাড়াও সে দিন অন্য কারণে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ১৫ দিনের পিতৃপক্ষের অবসান হয়। দেবীপক্ষের সূচনার আগে ভোরে অসংখ্য মানুষ পূর্বপুরুষকে তিল-তর্পণ করেন। হাজার হাডার বছর ধরে এই প্রথা চলে আসছে। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, কী ভাবে এই প্রথার প্রচলন হয়েছিল? কে শুরু করেছিলেন এই পিতৃ তর্পণ? জেনে নিন কিছু অজানা কাহিনি।

অনেকের মনে মহালয়া কথাটি এসেছে 'মহত্‍ আলয়' থেকে। সনাতন ধর্মে মনে করা হয় যে, পিতৃপুরুষরা এই সময়ে পরলোক থেকে ইহলোকে আসেন জল ও পিণ্ডলাভের আশায়। প্রয়াত পিতৃপুরুষদের জল-পিণ্ড প্রদান করে তাঁদের 'তৃপ্ত' করা হয় বলেই মহালয়া একটি পূণ্য তিথি।

 

কিন্তু কী ভাবে শুরু হল তর্পণ প্রথা? এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যায়। রামায়ণ অনুসারে ত্রেতা যুগে শ্রীরামচন্দ্র অসময়ে দেবী দূর্গার আরাধনা করেছিলেন লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধার করার জন্য। শাস্ত্রমতে দুর্গাপুজো বসন্তকালে হওয়াই নিয়ম। শ্রীরামচন্দ্র অকালে দেবী দুর্গার বোধন করেছিলেন বলে একে অকাল বোধন বলা হয়। সনাতন ধর্মে কোনও শুভ কাজের আগে প্রয়াত পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে অঞ্জলি প্রদান করতে হয়। দেবীর আরাধনার আগে এমনটাই করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। সেই থেকে মহালয়ায় তর্পণ অনুষ্ঠানের প্রথা প্রচলিত।

আবার মহাভারতে অন্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। মহাভারত অনুযায়ী, মৃত্যুর পর কর্ণের আত্মা পরলোকে গমন করলে তাঁকে খাদ্য হিসেবে স্বর্ণ ও রত্ন দেওয়া হয়। দেবরাজ ইন্দ্রকে কর্ণ এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে ইন্দ্র বলেন যে, দানবীর কর্ণ সারা জীবন স্বর্ণ ও রত্ন দান করেছেন, কিন্তু প্রয়াত পিতৃগণের উদ্দেশ্যে কখনও খাদ্য বা পানীয় দান করেননি। তাই স্বর্গে খাদ্য হিসেবে তাঁকে সোনাই দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

তখন কর্ণ জানান, যেহেতু নিজের পিতৃপুরুষ সম্পর্কে তিনি অবহিত ছিলেন না, তাই ইচ্ছাকৃত ভাবেই পিতৃগণের উদ্দেশ্যে খাদ্য দান করেননি। এই কারণে কর্ণকে ১৫ দিনের জন্য মর্ত্যে ফিরে পিতৃলোকের উদ্দেশ্যে অন্ন ও জল প্রদান করার অনুমতি দেওয়া হয়। এই পক্ষই পিতৃপক্ষ নামে পরিচিত হয়।

 

Advertisement