আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীকে যোগিনী একাদশী বলা হয়। এ দিন ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে পাপ থেকে মুক্তি মেলে। শাস্ত্রমতে বলা হয়, যদি এ দিন উপবাস করে বিষ্ণুর উপাসনা করা হয় তবে পাপের বিনাশ হয়। মান্যতা অনুযায়ী মনে করা হয়, যোগিনী একাদশীর ব্রত পালন করলে সংসারে সুখ সমৃদ্ধি এবং শান্তির আগমন হয়। একাদশীর ব্রত পালন করলে সেই ব্যক্তি মৃত্যুর পর স্বার্গলোকে গমন করেন।
মেলে কঠিন রোগ থেকে মুক্তি
শাস্ত্র মতে, যোগিনী একাদশীর ব্রত পালন করলে ৮৮ হাজার ব্রাহ্মণকে ভোজন করানোর সমান পূন্য সঞ্চয় হয়। কোনও কঠিন রোগে ভোগা ব্যক্তি যদি এই ব্রত পালন করে তবে সেই রোগ থেকেও মুক্তি মেলে। আগামীতে কঠিন রোগ হওার সম্ভাবনাও কমে যায়। একই সঙ্গে যআঁরা ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরাও রোগ থেকে মুক্তি পান। পণ্ডিত জ্যোতির্বিদ করিশ্মা কৌশিকের কাছে জেনে নিন কী ভাবে এই ব্রত পালন করবেন এবং তার সময় এবং তিথি।
জ্যোতির্বিদ করিশ্মা কৌশিকের মতে, যোগিনী একাদশী খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। কারণ এর পরই দেবশয়নী একাদশী পালন করা হয়। ওই একাদশীতে ভগবান বিষ্ণু এবং সমস্ত দেবতারা ৪ মাস যোগ নিদ্রায় চলে যান। ফলে সে সময় কোনও শুভ কাজ করা হয় না। দুই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একাদশী নির্জলা একাদশী এবং দেবশয়নী একাদশীর মাঝে আসে এই যোগিনী একাদশী। তাই তিথি এবং মান্যতা অনুসারেও এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর যোগিনী একাদশী হবে ৫ জুলাই সোমবার।
যোগিনী একাদশীর শুভ মুহূর্ত
যোগিনী একাদশী ব্রত ৫ জুলাই সোমবার
একাদশীর তিথি প্রারম্ভ - ৪ জুলাই রবিবার সন্ধে ৭টা ৫৫ মিনিটে
একাদশীর তিথি সমাপ্ত - ৫ জুলাই সোমবার ১০টা ৩০ মিনিটে
একাদশীর ব্রত পালন - ৬ জুলাই মঙ্গলবার ভোর ৮টা ২৯ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত
হলুদ বস্ত্র ধারণ করে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করা হয় এ দিন। হলুদ ফুল সহযোগে পুজো করতে হয়। তার সঙ্গে তুলসি পাতা এবং পঞ্চামৃত অর্পণ করতে হয়। এর পর ভগবান বিষ্ণুর সহস্রনামাবলী পাঠ করতে হয়। একই সঙ্গে ওম নমঃ ভগবতে বাসুদেবায় নমঃ মন্ত্র ১০৮ বার উচ্চারণ করতে হয়।