পৃথিবীর শীর্ষ ধনীর লিস্টে কিছুদিনের জন্য ভারী উত্থান পতন দেখতে পাওয়া গিয়েছে। বিশেষ করে এতে শামিল ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং মুকেশ আম্বানির সম্পত্তিতে বড় বদল দেখতে পাওয়া গিয়েছে। আদানি গ্রুপকে নিয়ে আমেরিকায় রিসার্চ ফার্ম, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট আসার পর থেকে যেখানে আদানি ধনীদের লিস্ট থেকে চতুর্থ স্থান থেকে ছিটকে গিয়েছেন দশের বাইরে, সেখানে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিদের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানিও বেশ নীচে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তিনি এখন আরও একবার ফের লম্বা লাফ দিয়ে টপ টেন বিলিয়নিয়ারের লিস্টে জায়গা করে নিয়েছেন।
ফোর্বস রিয়েল টাইম বিলিয়ানিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান এবং এশিয়া সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির নেটওয়ার্থ গত ২৪ ঘন্টায় এক আরব ডলার এর বেশি মুনাফা হয়েছে এবং এর সঙ্গে তিনি আরও একবার ধনী শিল্পপতিদের টপ টেন লিস্টে ফিরে এসেছেন। ১.৭ আরফ ডলার প্রায় ১৪ হাজার ৭৩ কোটি টাকা বেড়ে আম্বানির নেটওয়ার্থ এখন ৮৩.১ আরব ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। সেই সঙ্গে লিস্টের দশম স্থানে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন।
রিলায়েন্সের শেয়ারে গতির প্রভাব
গত কিছুদিন ধরে যেখানে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি সম্পত্তি জবরদস্ত প্রথম দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সেখানে মুকেশ আম্বানির নেটওয়ার্থেও ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। এর পরের টপ টেন লিস্ট থেকে বেরিয়ে যান দুজনেই। আম্বানি ১২ নম্বরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। যা গত ২৪ ঘন্টায় ফের তিনি আর্থিক মুনাফার সঙ্গে উপরে উঠে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার ঘরোয়া শেয়ার বাজারে শুরুর সঙ্গে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড শেয়ার গ্রিন সংকেতের সঙ্গে খোলে এবং খবর লেখা পর্যন্ত এটি ২৩৫২.৯৫ টাকা লেভেলে ট্রেড করেছিল। শুরুর ব্যবসার সময়ে কোম্পানির স্টক ২৩৬৮.৩০ টাকা বেড়ে গিয়েছিল।
গৌতম আদানি ১৭ নম্বর জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন
হিন্ডেনবার্গের জালে ফেঁসে শিল্পপতি গৌতম আদানির কথা বলতে গেলে গত ২৪ জনুয়ারি পাবলিক হওয়া আদানি গ্রুপের ব্যবসার ওপর প্রশ্ন খাড়া করে দিয়েছিল। যার প্রভাব তার ব্যবসায় পড়ে। বছরের শুরুতে টপ টেন এর লিস্টে চতুর্থ স্থানে নিজের জায়গা করে নেওয়া আদানি কিছুদিনের মধ্যেই ২২ নম্বর স্থানে পৌঁছে গিয়েছেন।
যদিও গত দুদিনে তার শেয়ারের গতি ফের বেড়েছে এবং কামব্যাকের ইঙ্গিত মিলেছে। আপাতত ৬০.৬ আরব ডলারের সঙ্গে নেটওয়ার্ক ১৭ নম্বর জায়গায় পৌঁছেছেন।
নাম্বার ওয়ান আর্নল্ড
বিলিয়নিয়ার্স লিস্টে প্রথম জায়গায় রয়েছেন ফ্রান্সের বিলিয়নিয়ার বার্নার্ড আর্নল্ট। ২১০.৫ আরব ডলার নেটওয়ার্থের সঙ্গে তিনি শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন। সেখানে এলন মাস্ক ১৯১.৪ আরব ডলারের সম্পত্তির সঙ্গে এখন ২ নম্বরে রয়েছেন। লিস্টের তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ১২৩.২ আরব ডলারের সঙ্গে আমাজনের কর্ণধার জেফ বেজোস। সেখানে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ল্যারি এলিসন। তার সম্পত্তি ১১১.৩ আরব ডলার। ওয়ারেন বাফেট ১০৭.৪ আরব ডলারের সঙ্গে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন।
বিল গেটস পৃথিবীর ৬ নম্বর সবচেয়ে ধনী
microsoft এর কো ফউন্ডার বিল গেটসের সম্পত্তি ১০৫.৯ আরব ডলার এবং তিনি এখন পৃথিবীর ৬ নম্বর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। অন্য ধনীদের কথা বলতে গেলে ৮৭.০ ডলারের সঙ্গে কার্লোস হিলু সপ্তম এবং লেরি পেজ অষ্টম স্থানে রয়েছেন। স্টিভ বালমের ৮৫.৩ আরোগ দলের সঙ্গে রয়েছেন টপ টেনের নয় নম্বর লিস্টে।
আদানি জুকেরবার আগে-পিছে
গৌতম আদানি এবং ফেসবুকের মার্ক জুকেরবার্গের মধ্যে সম্পত্তির দৌড়ে কড়া মোকাবেলা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ভারতীয় শিল্পপতি এবং জুকেরবার্গের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন। যেখানে আদানি ৬০.৬ আরব ডলার নেটওয়ার্কের সঙ্গে ১৭ নম্বর স্থানে রয়েছেন। সেখানে মার্ক জুকারবার্গের সম্পত্তি ৬৫.৮ আরব ডলার রয়েছে এবং তিনি ১৬ নম্বর স্থানে রয়েছেন।