মিশন কর্মযোগী প্রকল্পের ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই প্রকল্পের আওতায় সিবিল সার্ভিস শিক্ষানবিশদের জেলায় জেলায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানকার সমস্যা ও অভাব-অভিযোগ দেখবেন সিবিল সার্ভিস শিক্ষানবিশরা। সেখানকার আর্থ-সামাজিক উন্নতিতে কী কী করা উচিত,সেটা লিখে রাখবেন তাঁরা। এই প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মস্তিষ্কপ্রসূত। তিনি চান,জেলাস্তরে আর্থিক উন্নয়ন সম্পর্কে যেন অবগত থাকেন সরকারি আমলারা। এতে কর্মজীবনে কাজ করতে সুবিধা হবে তাঁদের।
গত দুবছরে সিবিল সার্ভিসের ট্রেনিংয়ে এসেছে বিবিধ বদল। কেন্দ্রের মতে, প্রশিক্ষণ আরও বেশি করে মাটির কাছাকাছি করে তোলা হয়েছে। যাতে আগামীর সরকারি আমলারা বুঝতে পারেন আজকের দিনে কী দরকার। সেই প্রশিক্ষণেই যুক্ত হয়েছে মিশন কর্মযোগী। প্রশিক্ষণের সময় নিজের মিশন বা লক্ষ্য লিখে রাখতে হবে শিক্ষানবিশদের। অর্থাৎ কোনও জেলার উন্নয়নে তাঁরা কী কী করতে চান। সেই লেখাই রাখা হবে ডিজি লকারে। ২৫ বছর পর সেটা দেখতে পারবেন তাঁরা। নিজেরাই জানতে পারবেন, কী লক্ষ্য রেখেছিলেন, তার কতটা পূরণ করতে পেরেছেন।
মুসৌরিতে সিবিল সার্ভিসে ট্রেনিংয়ে শিক্ষানবিশদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, প্রাথমিক স্কুলে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিক, পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। তাঁদের পর্যালোচনা নিয়ে আলোচনা হবে ক্লাসে। গোটা পরিকল্পনার উদ্দেশ্য নাগরিক সিবিল সার্ভেন্ট তৈরি করা। সাধারণ মানুষের সমস্যা-অভিযোগ নিয়ে তাঁদের অবহিত করে তোলাই কর্মযোগী মিশনের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন- আরও ১ বছর ফ্রি-তে রেশন ঘোষণা বাজেটে, কৃষি ঋণের টার্গেট বাড়িয়ে ২০ লক্ষ কোটি টাকা